— প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের ফোনে কথা বলায় আপত্তি ছিল বাবার। কিন্তু বাবার আপত্তি ভাল ভাবে নেননি ১৯ বছরের মেয়ে। শেষ পর্যন্ত থানায় গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন মেয়ে। মেয়ের অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর কথা বলা ঠেকাতে বাবা তাঁকে মারধর পর্যন্ত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।
বাবা-মেয়ে গোলমালের সূত্রপাত গত ১১ জুলাই রাতে। রুদাউলি থানার এসএইচও দেবেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, আনুমানিক রাত ৯টা নাগাদ অযোধ্যার জামুনিয়ামাউ গ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তরুণী। মেয়ে যে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছেন, তা খেয়াল করেন বাবা। ভবিষ্যতে এমন জিনিস ঘটলে খুব খারাপ হবে বলে মেয়েকে জানিয়ে বাধা দেন তিনি। পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মেয়ের উপর সর্ব ক্ষণ নজরদারি করারও নির্দেশ দেন। যাতে মেয়ে কোনও ভাবেই প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন। বাবার এই ব্যবহার ভাল ভাবে নেননি মেয়ে। পর দিন সকালেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাজির হন রুদাউলি থানায়। জমা দেন লিখিত অভিযোগপত্র। যা দেখে অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। দেবেন্দ্র বলেন, ‘‘আমি অভিযোগপত্র দেখে অবাক হয়ে যাই। গ্রাম থেকে বাবাকে ডেকে পাঠাই থানায়। তার পর পরিবারের অন্য সদস্যদের বলি বাবা, মেয়ে কথা বলিয়ে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য। একজন মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকেও কথা বলতে পাঠাই।’’
কিন্তু পুলিশের দাবি, তরুণী এফআইআর দায়ের করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তরুণী জানান, তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, যদি তাঁর এফআইআর গ্রহণ না করা হয়, তা হলে তিনি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তার পরেই বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে মারধর এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়।
এসএইচও দেবেন্দ্র বলেন, ‘‘এফআইআরে গ্রেফতারির মতো কোনও সংস্থান ছিল না। তাই আমরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা রুজু করি। তার পরে বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে মুক্তি দিই।’’