প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার উত্তরপ্রদেশ। আবারও সেই বদায়ুঁ। এ বার এক শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল ওই শহরে। শুক্রবার রাতে বাড়িরই অদূরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছন পুলিশ সুপার ব্রিজেশ কুমার। অভিযুক্তকে দ্রুত খুঁজে বার করার নির্দেশ দেন।
ঘটনার তদন্তে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়। অভিযুক্তের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শনিবার ভোর ৪টের সময় অভিযুক্তকে খুঁজে ‘এনকাউন্টার’ করে পুলিশ। ঘটনাটি বদায়ুঁ জেলার বিলসি থানা এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি বাজারে গিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শিশুটির বাবা-মা। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেও কোনও হদিস না পেয়ে শেষমেশ বিকেলের দিকে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা।
সেই অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। শিশুটির খোঁজ শুরু হয়। এলাকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানেই ওই শিশুটিকে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেই সময়েই বাড়ির কাছের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে রাত ১০টা নাগাদ শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে দ্রুত চারটি দল গঠন করে জেলা পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে চিরুনিতল্লাশি চালানো হয়। শনিবার ভোর ৪টেয় বিনপুর এলাকায় অভিযুক্তের হদিস পায় পুলিশ। তাদের দাবি, গ্রেফতার করতে গেলেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্ত। তাতে এক পুলিশকর্মী আহত হন। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। অভিযুক্তের পায়ে লাগে। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।