প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে পুজো চলছিল। পরিবারের সকলেই হাজির ছিলেন। হঠাৎই রণমূর্তি ধারণ করল কিশোরী। তার উগ্র মূর্তি দেখে সকলেই ভয় পেয়ে গেলেন। পুজোপাঠ ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন ঘর ছেড়ে।
হঠাৎই পরিবারের সদস্যরা দেখেন, ঘর থেকে একটি তরবারি বার করে কিশোরী তাঁদের দিকে এগিয়ে আসছেন। তাকে ঠেকাতে এগিয়ে যান কিশোরীর বাবা এবং দাদা। তাকে বাধা দিতে যেতেই তরবারি দিয়ে হামলা চালায় সে। কোনও রকমে সেই হামলা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
এর পর কিশোরী ফের ঘরে ঢোকে। তখন ঘরের ভিতরেই ছিল তার ন’বছরের খুড়তুতো বোন। হাতের সামনে তাকে পেয়ে তরবারি দিয়ে আঘাত করে ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেয়। ঘটনাটি রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের।
কিশোরীর বাবা শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়িতে দশমাতা পুজোর আয়েজন করা হয়েছিল। তাঁর মেয়ে হস্টেল থেকে পুজোর এক দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল। পুজো দেবে বলে উপোস করেছিল। সোমবার পুজোর দিন হঠাৎই মেয়ের আচরণে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বাড়িতে তখন পুজো চলছিল। হঠাৎ মেয়ে একটি তরবারি নিয়ে তেড়ে যায় সকলের দিকে। মেয়েকে ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনি এবং তাঁর ছেলে।
শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, মেয়ের হাত থেকে বাঁচতে সকলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন বাড়ির ভিতরে ছিল তাঁদের এক আত্মীয়ের মেয়ে। কাউকে কাছে না পেয়ে ওই মেয়েটির উপরই হামলা চালায় সে।
পুলিশ কিশোরীকে আটক করেছে। কেন এমন হামলা চালাল তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ সিংহ।