UP Gangrape

কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে, ধরা পড়ার ভয়ে নিজেকে শেষ করলেন এক অভিযুক্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় দোকান থেকে ফিরছিল ওই কিশোরী। রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গায় এক বাইকচালক তার পথ আটকে দাঁড়ান। অটো নিয়ে কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও দু’জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাবার দোকান থেকে ফেরার সময় রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের আগরায়। ঘটনাটি সোমবারের। বুধবার এই ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় দোকান থেকে ফিরছিল ওই কিশোরী। রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গায় এক বাইকচালক তার পথ আটকে দাঁড়ান। অটো নিয়ে কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও দু’জন। কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান বাইকচালক। তার পর দুই অটোসওয়ারির হাতে তুলে দেন কিশোরীকে।

নির্যাতিতার অভিযোগ, এর পরই তাকে একটি ইটভাটায় নিয়ে যান ওই তিন জন। সেখানে তাকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। মঙ্গলবার সকালে ইটভাটার এক কর্মী ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

Advertisement

কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতেই রূপেশ, করুয়া এবং জগদীশ নামে তিন তরুণের খোঁজ পায় পুলিশ। অভিযুক্তেরা সকলেই শামসাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। শামসাবাদ গ্রাম থেকে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই আর এক অভিযুক্ত পালিয়ে যান। অন্য দিকে, ধরা পড়ার ভয়ে আর এক অভিযুক্ত জগদীশ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে জগদীশের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

আগরার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সোমেন্দ্র মীণা জানিয়েছেন, অটোচালক রূপেশকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে জগদীশ এবং করুয়ার খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে গা ঢাকা দেন করুয়া। অন্য দিকে, গ্রেফতারি এড়াতে আত্মহত্যা করেন জগদীশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement