ঠিকমতো তদন্ত না করার জন্য এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে বৈঠকের মাঝে সকলের সামনে ধমক দিলেন হরিয়ানা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া। পুলিশ অফিসার এবং ভাটিয়ার সেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার কৈথলে।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: তিন তিন বার তো মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছেন, তাঁর স্বামীর এক বারও পরীক্ষা করিয়েছেন?
তদন্তকারী অফিসার কিছু একটা বলার চেষ্টা করলেন।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: চুপ করুন। কোনও কথা শুনতে চাই না। কেন মহিলার স্বামীকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে গেলেন না? যেতে না চাইলে ওকে চড় মারা উচিত ছিল।
আবারও কিছু একটা বলার চেষ্টা করলেন তদন্তকারী অফিসার।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: এখান থেকে বেরিয়ে যান। আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: এসএইচও কে আছেন? (এসএইচও এগিয়ে আসেন)।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: এসএইচও, ওকে বাইরে বার করে দিন।
তদন্তকারী অফিসারকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এসএইচও। কিন্তু চেয়ারপার্সনের এই ধমক শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তদন্তকারী অফিসার।
অদন্তকারী অফিসার: আমরা এখানে অপমানিত হতে আসিনি।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন: ও, আচ্ছা, তা হলে আপনারা মহিলাকে অপমান করার জন্য এসেছেন?
এর পরই তদন্তকারী অফিসারকে বাইরে বার করে দেওয়া হয়। দু’জনের এই উত্তপ্ত বাক্যালাপ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন হরিয়ানার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া। সেখানে একটি মামলার তদন্তকারী অফিসারকেও ডাকা হয়েছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যমকে ভাটিয়া জানান, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। অতএব তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে থাকার কোনও অধিকার নেই স্ত্রীর। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন মহিলা। মামলাটি মহিলা কমিশন পর্যন্ত পৌঁছয়।
মহিলা কমিশন দু’জনের শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয় পুলিশকে। কিন্তু মহিলার তিন বার শারীরিক পরীক্ষা করানো হলেও, তাঁর স্বামীর এক বারও পরীক্ষা করাতে পারেনি পুলিশ। কেন মহিলার স্বামীর পরীক্ষা করতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে, তা জানতে তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু। তিনি বলেন, “মহিলার স্বামী পুলিশ এবং কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে একাধিক বার অভব্য আচরণ করেছেন। দু’জনেরই পরীক্ষা করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল থানাকে। কিন্তু মামলার তদন্তকারী অফিসার সেই পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা ওঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”