Mother

কেউ খবর রাখে না, মৃতা মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে তিন কিমি দূরে শ্মশানে গেলেন ৬০ বছরের বড়ছেলে!

চেনা-পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন কেউ খবর রাখে না। নবতিপর বাবা চলাফেরা করতে পারেন না। আরও দুই ভাই আছেন। কিন্তু তাঁরা বাবা-মায়ের খবর রাখেন না। তাই মায়ের দেহ নিয়ে একাই শ্মশানে গেলেন ছেলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ত্রিচি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:২৯
Share:

মৃতা মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে শ্মশানে গেলেন ছেলে। ছবি: সংগৃহীত।

চেনা-পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন কেউ খবর রাখে না। নবতিপর বাবা চলাফেরা করতে পারেন না। আরও দুই ভাই আছেন। কিন্তু তাঁরা বাবা-মায়ের খবর রাখেন না। তাই মৃতা মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে তিন কিলোমিটার দূরে শ্মশানে নিয়ে গেলেন ৬০ বছরের বড় ছেলে। তামিলনাড়ুর ত্রিচি জেলার ঘটনা।

Advertisement

পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মুরুগানন্ধম। ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধ জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মা মারা যান। সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ছিলেন বৃদ্ধা। মায়ের শেষকৃত্য করার জন্য কোনও বন্ধুবান্ধব বা প্রতিবেশীকে পাননি বৃদ্ধ। এমনকি ভাইরাও আসেননি। তা ছাড়া শববাহী গাড়ি ভাড়া করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই মৃত মাকে কাপড়ে মুড়ে হুইলচেয়ারে বসান বৃদ্ধ। এই ভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শ্মশানে নিয়ে যান তিনি।

মুরুগানন্ধম পুরসভায় ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কোনও সাহায্য পাওয়া যাবে কি না। পুরসভা থেকে এক কর্মী জানিয়েছিলেন, শেষকৃত্যের জন্য অর্থসাহায্য করা হবে। পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারও খোঁজ দেন ওই কর্মী। তবে সে সবই শ্মশানে যাওয়ার পর।

Advertisement

বৃদ্ধ জানান, তাঁর মা রাজেশ্বরীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। কয়েক বছর সোরিয়াসিসে ভুগছিলেন। বুধবার মায়ের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, আর করার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মায়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য হুইলচেয়ারকে ভরসা করেন তিনি। শ্মশানে অবশ্য পুরকর্মীরা তাঁকে সাহায্য করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement