স্থলসেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। —ফাইল চিত্র।
দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ৩০তম সেনাপ্রধান হলেন তিনি। রবিবার সেনাপ্রধান হিসাবে মনোজ পাণ্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পরেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন উপেন্দ্র। তিনি এত দিন ভারতীয় সেনার উপপ্রধান পদে ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর এবং চিন সীমান্তে বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে উপেন্দ্রের। সেনার সঙ্গে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যুক্ত তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিন সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সামলেছেন উপেন্দ্র। চিনের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় অন্যতম ছিলেন তিনি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সেনার উপপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপেন্দ্র। তার আগে তিনি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ছিলেন। বর্তমানে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁকে নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এগোতে হবে।
মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার সৈনিক স্কুলের ছাত্র ছিলেন উপেন্দ্র। ১৯৮৪ সালে তিনি ১৮ জম্মু-কাশ্মীর রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘ ৪০ বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার হিসাবে দীর্ঘ দিন কাশ্মীরে কাজ করেছেন উপেন্দ্র। সেখানে একাধিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। চিনের ক্ষেত্রেও বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে উপেন্দ্রের। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ এবং টানাপড়েন চলাকালীন সমঝোতার জন্য যাঁরা আলোচনা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে উপেন্দ্র ছিলেন অন্যতম।
পূর্বতন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের মেয়াদ ছিল ৩১ মে পর্যন্ত। কিন্তু এক মাস তাঁর কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁকে এই দায়িত্বে থাকতে বলা হয়। যার অর্থ, লোকসভা নির্বাচনের পরে নতুন সরকার নতুন সেনাপ্রধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে উপেন্দ্রের পাশাপাশি ছিলেন সাদার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার সিংহও। তিনি ১৯৮৪ সালে ৭/১১ গোর্খা রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেলেন উপেন্দ্রই।