নাম এবং ভোল বদলেও শেষরক্ষা হল না। গ্রেফতার হোমগার্ড। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছিলেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দুষ্কৃতী। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিজের নাম, পরিচয়ই বদলে ফেলেন। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে যোগ দেন হোমগার্ডের কাজেও। তবে শেষরক্ষা হল না। বাড়ির লোকই তাঁকে ধরিয়ে দিলেন পুলিশের কাছে।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের নকরু যাদব। আজমগড় এবং তার আশপাশের এলাকার ত্রাস ছিলেন তিনি। ডাকাতি, অপহরণ এবং তোলাবাজি-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নকরুর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন আজমগড়ের বাসিন্দারা। পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর তালিকাতেও উঠে আসে নকরুর নাম। কিন্তু তাঁকে ধরার জন্য পুলিশ যখন হন্যে হয়ে খোঁজ চালাচ্ছে, নকরু গা-ঢাকা দেন। বেশ কয়েক মাস পর একেবারে নতুন রূপে আবার প্রকাশ্যে আসেন।
তখন আর নকরু নয়, নন্দলাল যাদব নামে ভোল বদলে ফিরে আসেন। শুধু তা-ই নয়, পরিবারেরই এক সদস্যের নাম ব্যবহার করে ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে হোমগার্ডের কাজেও যোগ দেন। ৩৫ বছ ধরে ওই নামেই হোমগার্ডের চাকরি করে গিয়েছেন নকরু। তা-ও আবার পুলিশের নাকের ডগাতেই। পুলিশ যখন নকরুকে খুঁজে না পেয়ে মামলা বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই তাদের কাছে খবর আসে, আজমগড়েই ভোল বদলে লুকিয়ে রয়েছেন গ্যাংস্টার নকরু।
তবে তাঁর এখন বয়স ৫৭। কাজ থেকে অবসরের আর কিছু সময় বাকি। কিন্তু তার আগেই গ্রেফতার হলেন গ্যাংস্টার নকরু ওরফে নন্দনাল। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৮৪-৮৯, এই পাঁচ বছর আজমগড়ে দাপিয়ে বেড়ান নকরু। সম্প্রতি তাঁরই ভাইপো এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, নকরু কুখ্যাত দুষ্কৃতী। নাম ভাঁড়িয়ে, পরিচয় লুকিয়ে হোমগার্ডের কাজ করছেন। এ কথা জানতে পেরেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নকরুর ভাইপো। তদন্তে নেমে পুলিশ আগের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে। তার পরই নকরুকে গ্রেফতার করে।