প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অনেক দিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না গ্যাংস্টার বিনোদ উপাধ্যায়ের। কিন্তু বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেই দুষ্কৃতীর হদিস পেতেই এনকাউন্টারে মারল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্যাংস্টার বিনোদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, তোলাবাজি, ডাকাতি-সহ বহু মামলা ছিল। মূলত লখনউ এবং গোরক্ষপুর ছিল বিনোদের ‘গড়’। এই দুই জেলার বাসিন্দা বিনোদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। একাধিক থানায় বিনোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। লখনউ এবং গোরক্ষপুরে ত্রাস হয়ে ওঠা সেই বিনোদকে ধরার জন্য তৎপর ছিল পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না তার।
বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় গ্যাংস্টার বিনোদ সুলতানপুরে আশ্রয় নিয়েছে। সেই খবর পাওয়ামাত্রই এসটিএফের প্রধান দফতর থেকে ডেপুটি পুলিশ সুপার দীপক কুমার সিংহের নেতৃত্বে একটি দল সুলতানপুরের দেহাত কোতওয়ালি এলাকায় যায়। যে বাড়িতে বিনোদ আত্মগোপন করে ছিল, সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, চার দিক থেকে ঘিরে ফেলায় বেকায়দায় পড়ে যায় বিনোদ। তখন পুলিশের দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত গুলির লড়াই চলে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে বিনোদের।
এই গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল গোরক্ষপুর পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গোরক্ষপুর, লখনউ ছাড়াও বস্তি, সন্ত কবীর নগরেও বেশ কিছু খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল বিনোদ। গোরক্ষনাথ থানায় তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। ঘটনাচক্রে, এই থানাটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। শুধু লখনউ বা গোরক্ষপুর নয়, অন্য কয়েকটি জেলাতেও ৩১টি মামলা রয়েছে বিনোদের বিরুদ্ধে।