—প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আবার এক ‘গ্যাংস্টার’কে গুলি করে খুন করলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। সঞ্জীব জীবা নামের ওই গ্যাংস্টারকে রাজ্যের কাইসেরবাগের একটি নিম্ন আদালতে হাজির করানোর সময় খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করেন আইনজীবীর পোশাক পরা এক আততায়ী। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জীব। তাঁকে বাঁচানোর করতে গিয়ে এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন।
এই ঘটনায় অনেকেই আতিককাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আসরফ আহমেদকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেন সাংবাদিকের বেশধারী তিন জন। অভিযোগ, কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
এ ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আইনজীবীর বেশে থাকা আততায়ী গ্যাংস্টার সঞ্জীবকে খুন করেছেন। তবে ১ জন না, বেশ কয়েক জন এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারও কারও মতে, আততায়ীরা সংখ্যায় ৪-৫ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনকে ধরে ফেলেন আইনজীবীরা। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের নাকের ডগায় বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদালত চত্বরে ১ জন আততায়ী কীভাবে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করলেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
গ্যাংস্টার সঞ্জীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে অন্তত ৫০টি অপরাধমূলক মামলা আছে তাঁর নামে। মূলত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় থাকা সঞ্জীব আর এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির অনুগামী বলে পরিচিত।