—ফাইল চিত্র।
হিন্দু হলেই সেই ব্যক্তি দেশপ্রেমিক হবেন এবং দেশপ্রেম তাঁর চরিত্রে থাকবে বলে দাবি করলেন সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবত। আজ জে কে বাজাজ ও এমডি শ্রীনিবাসের লেখা ‘মেকিং অব হিন্দু প্যট্রিয়ট, ব্যাকগ্রাউন্ড অব গাঁধীজি হিন্দ স্বরাজ’ বইয়ের উদ্বোধনে আজ খোদ মহাত্মা গাঁধীর উদাহরণ তুলে ওই দাবি করেন ভাগবত।
ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভাগবত আজ বলেন, দেশাত্মবোধ ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে ফারাক করতেন না মহাত্মা গাঁধী। গাঁধীজীর কাছে দেশাত্মবোধ ধর্মের সমার্থক ছিল। তিনি মনে করতেন কেউ হিন্দু হলে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই দেশপ্রেমী হবেন। ভগবতের কথায়, “গাঁধী মনে করতেন ধর্ম থেকেই দেশপ্রেমের জন্ম। ধর্ম মানে কেবল ধর্ম নয়, তার থেকেও বেশি।” বইয়ে দেশাত্মবোধ ও ধর্মের সম্পর্কের প্রশ্নে রাশিয়ান লেখক লিয়ো টলস্তয়কে লেখা গাঁধীর চিঠির অংশ তুলে ধরছেন লেখকেরা। সেখানে গাঁধী বলেছেন, ‘ভারতের প্রতি আমার ভালবাসা বাড়ছে, যা ধর্ম থেকেই পাওয়া।’
বিগত কয়েক বছর ধরেই পরিকল্পিত ভাবে মহাত্মা গাঁধীকে কাছে টানার প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে যে ওই অভিযোগ রয়েছে, তা বিলক্ষণ জানেন ভাগবত। তাই আজ সাফাইয়ে তিনি জানান, সঙ্ঘ কোনও ভাবেই গাঁধীর উপরে অধিকার ফলানোর চেষ্টা করছে না। কারণ, মহাত্মা গাঁধীর মতো মহান ব্যক্তিত্ব কারওর ব্যক্তিগত বিষয় নয়। তিনি সবার। গাঁধীর স্বরাজের আদর্শের ব্যাখ্যায় ভাগবত বলেন, “গাঁধীর আহ্বান কেবল ব্রিটিশদের সরানোর জন্য ছিল না, তিনি নয়া সমাজ গঠনের উপরে জোর দিয়েছিলেন।”