জি-২৩-র অন্যতম সদস্য আনন্দ শর্মার বক্তব্য, বিরোধী ঐক্য বরাবরই কংগ্রেসের অবস্থান। অতীতেও কংগ্রেস এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কংগ্রেসকেই যে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে হবে, তা-ও বলছেন আনন্দ।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। জি-২৩-এর সদস্য। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন করে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হওয়ার ডাক দেওয়ায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও সংশয়ে। কিন্তু কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা মনে করছেন, এখন বিজেপির মোকাবিলায় দলকে সমস্ত সমমনস্ক দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং সকলকে নিয়ে আসতে হবে এক মঞ্চে।
সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে এক হতে সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এর আগে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ গোষ্ঠীর বৈঠকের পরে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, কংগ্রেস হাই কমান্ডকে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে হবে। জি-২৩-র অন্যতম সদস্য আনন্দ শর্মার বক্তব্য, বিরোধী ঐক্য বরাবরই কংগ্রেসের অবস্থান। অতীতেও কংগ্রেস এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কংগ্রেসকেই যে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে হবে, তা-ও বলছেন আনন্দ। মমতার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, সমস্ত প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির এককাট্টা হওয়া জরুরি।
রাহুল গান্ধী আজ কর্নাটকে দলের বৈঠকে বিরোধী ঐক্যের কথা না বললেও, দলের মধ্যে ঐক্যের উপরে জোর দিয়েছেন। আগামী বছর কর্নাটক বিধানসভায় নির্বাচন। রাহুলের মতে, কংগ্রেসের নেতারা এক হয়ে লড়লেই ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস ১৫০টি আসন জিততে পারে। কম করে ১৫০টি আসন জিততে হলে দলের ঐক্য বজায় রাখাটাই কংগ্রেস নেতাদের দায়িত্ব।