অ্যামাজনের অস্বস্তি বাড়িয়ে রায় সুপ্রিম কোর্টের
স্বস্তিতে ফিউচার গোষ্ঠী। তাদের পাইকারি ও খুচরো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দুই সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের পর সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন। তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, রিল্যায়েন্স-ফিউচার চুক্তি নিয়ে আগামী এক মাস কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল (এনসিএলএটি), কম্পিটিশন কমিশন ইন্ডিয়া (সিসিআই), সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)।
সিঙ্গাপুরের আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগে সম্প্রতি ফিউচার গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি কোম্পানি এবং গোষ্ঠীর প্রোমোটার কিশোর বিয়ানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ওই রায়ের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ফিউচার কুপন এবং ফিউচার রিটেল। বৃহস্পতিবার ওই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে।
দু’বছর আগে ফিউচার গোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব কিনেছিল অ্যামাজন। এর ফলে সরাসরি তারা ওই গোষ্ঠীর ফিউচার কুপন সংস্থার অংশীদার হয়। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে খুচরো ও পাইকারি বাণিজ্য-সহ বেশ কয়েকটি শাখা বিক্রি করতে রিলায়্যান্সের সঙ্গে ২৪ হাজার ৭৩১ কোটি টাকার চুক্তি করে ফিউচার। তাতেই আপত্তি জানিয়ে অ্যামাজনের বক্তব্য, ফিউচারের অংশীদারিত্ব কিনতে প্রায় ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফলে তাদের অনুমতি না নিয়ে এ ভাবে অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেওয়া যায় না। কারণ, এখানে অ্যমাজনেরও সম্পত্তি রয়েছে। তার পরই বিষয়টি গড়ায় আদালতে। সিঙ্গাপুরের আদালত অ্যামাজনের পক্ষে রায় দেয়। বলা হয়, এ ভাবে রিলায়্যান্সের সঙ্গে চুক্তি কার্যকর করা যাবে না। একই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও।