সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা শ্রমিকেরা। ছবি: পিটিআই।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র জওয়ানদের হাত ধরে প্রথম মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে গত ১৭ দিন ধরে আটক ৪১ জন শ্রমিকের এক জন। এর পর একে একে ‘র্যাট হোল’ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার শুরু হল বাকিদের। বাংলায় তিন শ্রমিক, কোচবিহারের মানিক তালুকদার এবং হুগলি জেলার সেবিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিকও রয়েছেন সেই তালিকায়।
প্রশাসনের দেওয়া তালিকা বলছে, শুধু বিজয় নন, উদ্ধার পাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাঁদের বড় অংশই তফসিলি জনগোষ্ঠীর। বিশ্বজিৎ কুমার, সুবোধ কুমার, অনিল বেদিয়া, রাজেন্দ্র বেদিয়া, সুখরাম, টঙ্কু সর্দার, গুণধর, রঞ্জিত, রবীন্দ্র, সমীর, মহাদেব ভুক্তু মুর্মু, জমরা ওরাওঁ, গণপতি রয়েছেন এই তালিকায়। রয়েছেন বিহারের সাবা আহমেদ, সোনু শাহ, বীরেন্দ্র কিস্কু ও সুশীল কুমার।
পূর্ব ভারতের আর এক রাজ্য ওড়িশার তপন মণ্ডল, ভগবান বাত্রা, বিশ্বেশ্বর নায়েক, রাজু নায়েক, ধীরেনও ১৭ দিন সুড়ঙ্গে বন্ধ থাকার পরে মুক্তি পেয়েছেন মঙ্গলের রাতে। তাঁদের সঙ্গেই উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ কুমার, অঙ্কিত, রাম মিলন, সত্যদেব, সন্তোষ, জয়প্রকাশ, মনজিৎ ও রাম সুন্দরও। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অসমের সঞ্জয় ও রামপ্রসাদেও উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ বাহিনী। ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা দু’জন— গব্বর সিংহ নেগি এবং পুষ্কর। তাদের পড়শি রাজ্য হিমাচল প্রদেশের বিশাল রয়েছেন উদ্ধার পাওয়া শ্রমিকদের তালিকায়।