কার্গিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মেজর অমিত কুমার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ঠিক ২১ বছর পরে ফের মুখোমুখি দেখা হল দু’জনের। গুজরাতের জামনগরের পর লাদাখের কার্গিলে। পুরনো স্মৃতির স্মারক হিসেবে ২০০১ সালে তোলা সেই ছবি নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে এলেন ভারতীয় সেনার মেজর অমিত কুমার।
২০০১ সালে অমিত ছিলেন জামনগরের বালাচড়ি সৈনিক স্কুলের ছাত্র। মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে কয়েক জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন অমিতও। পরবর্তী কালে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর সেনায় যোগ দেন তিনি। সোমবার দু’দশকের পুরনো সেই স্মৃতির নিদর্শন হিসাবে ‘মুখ্যমন্ত্রী মোদীর’ সঙ্গে তোলা সেই ছবি এনেছিলেন অমিত।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ‘পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র’ সিয়াচেনে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব পালন করেছিলেন মোদী। এ বার ১৯৯৯ সালের ভারত-পাক সীমান্ত সংঘর্ষস্থল কার্গিলে ভারতীয় সেনার অফিসার এবং জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি কাটাচ্ছেন তিনি। সেই সেনা অফিসারদের মধ্যেই রয়েছেন অমিত।
মোদী সোমবার কার্গিলে গিয়ে সীমান্ত পারের সন্ত্রাস দমনে ভারতীয় সেনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কার্গিলে আমাদের জওয়ানরা সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করতে পেরেছেন। আমি নিজে তার সাক্ষী। এখানে যখন এলাম, আমাকে পুরনো সে সব ছবি দেখানো হয়েছে। পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে আমার।’’ কার্গিলে সেনার প্রশংসা করে মোদী জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এমন কোনও যুদ্ধ নেই যেখানে কার্গিল বিজয় পতাকা ওড়ায়নি। এখানে কর্তব্যরত জওয়ানদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।’’