ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত।
সুদূর ফ্রান্স থেকে ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। সে দিন ছিল ফেরার পালা। বিমানে ওঠার আগে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তল্লাশির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৬৩ বছরের বার্ট্রান্ড প্যাট্রিক। আচমকাই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান মাটিতে। তা দেখেই ছুটে আসেন এক নিরাপত্তাকর্মী। সময় নষ্ট না করে সিপিআর দিতে শুরু করেন তিনি। তাতেই জ্ঞান ফেরে প্রৌঢ়ের। তাঁকে বাঁচিয়ে রাতারাতি ‘নায়ক’ হয়ে উঠেছেন ওই সিআইএসএফ কর্মী।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৬ জানুয়ারি। সেদিন ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্যারিসগামী এয়ার ভিস্তারার একটি বিমান ধরার কথা ছিল বার্ট্রান্ডের। তার আগে চলছিল নিরাপত্তা সংক্রান্ত তল্লাশি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান প্রৌঢ়। তাঁর অবস্থা দেখে হইচই পড়ে যায়।
সেই সময় কাছেই একটি এক্স-রে স্ক্যানারে কাজ করছিলেন সিআইএসএফ সাব-ইন্সপেক্টর পুনীত কুমার তিওয়ারি। বার্ট্রান্ডকে পড়ে যেতে দেখে দৌড়ে আসেন তিনি। অবস্থা বুঝে সিপিআর দিতে শুরু করেন। অল্প ক্ষণের মধ্যেই প্রৌঢ়ের জ্ঞান ফিরে আসে।
এর পর বার্ট্রান্ডকে পরীক্ষা করে দেখেন এক জন চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বার্ট্রান্ড খানিক সুস্থ বোধ করতে তাঁকে আকাশপথে ভ্রমণের জন্য ‘ফিট’ বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার পর বিমানে চেপে রওনা হন প্রৌঢ়।
এই ঘটনার পর পুনীতকুমার তিওয়ারির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিআইএসএফ-এর কর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরাও। সিআইএসএফ-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুনীতের উপস্থিত বুদ্ধি এবং তৎপরতার কারণেই ওই বিদেশি নাগরিক প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিপিআর হল একটি জীবন-রক্ষার একটি আপৎকালীন পদ্ধতি, যা হৃদপিন্ডের স্পন্দন আকস্মিক ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে প্রয়োগ করা হয়। সেই পদ্ধতিতে বার্ট্রান্ডের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।