বালক রামের জন্য পাঠানো রুপোর ঝাঁটা। ছবি: এক্স।
গত ২২ জানুয়ারি ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়েছে রামলালার। পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ তারিখ থেকেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেছে রামমন্দির। বালক রামের দর্শনে আসা পুণ্যার্থীদের ভিড়ে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না সেখানে। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তেরা রামলালার জন্য বিভিন্ন উপহারও পাঠাতে শুরু করেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলিই অর্থের নিরিখেও বেশ বহুমূল্য। এ বার মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিষ্কার রাখার জন্য উপহার হিসেবে এল রুপোর ঝাঁটা। সেই ঝাঁটার ওজন নাকি প্রায় ২ কিলোগ্রাম!
রামভক্তদের সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় মাঙ্গ সমাজ’-এর তরফ থেকে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে পাঠানো হয়েছে ঝাঁটাটি। ভক্তদের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিষ্কার করার জন্য যেন ওই ঝাঁটাটি ব্যবহার করা হয়। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কাচের বাক্সে রাখা সেই রুপোর ঝাঁটা ভক্তেরা মাথায় করে নিয়ে আসছেন। ফুলের মালায় সাজানো হয়েছে সেই বাক্স। (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) সূত্রের খবর, ঝাঁটাটির ওজন ১ কেজি ৭৫১ গ্রাম।
উত্তরপ্রদেশে এখন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তাতে যদিও ভক্ত সমাগমে কোনও কমতি নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বুধবার পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকবে উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতও হতে পারে। মন্দির কর্তৃপক্ষের নতুন সময় অনুযায়ী, রামলালা মূর্তির শৃঙ্গার আরতি শুরু হয় ভোর সাড়ে ৪ টেয়। মঙ্গল প্রার্থনা করা হয় সকাল সাড়ে ৬টায়। তার পরে সকাল ৭টা থেকে ভক্তদের দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। তার জন্য হাড়কাঁপানো ঠান্ডা এবং কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকে লাইন দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।
‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আগেই শিশু রামের জন্য উপচে পড়েছে উপহারের ডালি। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও এসেছে উপহার। সোনা-রুপোর পাদুকা থেকে শুরু করে অষ্টধাতুর ঘণ্টা, মিহি রেশমের বস্ত্র, ঘড়ি, চুড়ি, গহনা, নাগাড়ু কিছুই বাদ যায়নি। উপহারের তালিকায় রয়েছে খাবারদাবারও। এমনকি, কুতুব মিনারের অর্ধেক উচ্চতার পেল্লাই ধূপকাঠিও পাঠানো হয়েছিল গুজরাত থেকে। এ ছাড়া ৫০০০ আমেরিকান ডায়মন্ড এবং দু’কেজি রুপো দিয়ে তৈরি একটি হার পাঠিয়েছেন সুরাতের এক গহনাশিল্পী। অবিকল রামমন্দিরের আদলে লকেট বানানো হয়েছে সেই হারের। হারের মালার অংশে খোদাই করা হয়েছে রামায়ণের চরিত্র।