Winter Session Of Parliament

পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণার পরদিনই শুরু হবে সংসদের অধিবেশন! শীতের সভা উত্তপ্ত হবে মহুয়াকে ঘিরে?

তদন্তের পরে লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার স্পিকারের কাছে। এই বিষয়ে আলোচনা হলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে হইচই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৮
Share:

মহুয়া মৈত্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দিন ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। সোমবার মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ১৫ দিন অধিবেশন বসার কথা সংসদের দুই কক্ষে।

Advertisement

৩ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম — এই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হবে। তার পরের দিনই শীতকালীন অধিবেশনের জন্য খুলছে সংসদের দরজা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জোশী জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তিনি সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। ওই দিন সংসদের সম্ভাব্য কার্যসূচি নিয়ে সব দলের সঙ্গে প্রথামাফিক আলোচনায় বসবে সরকারপক্ষ। সচরাচর সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগের দিন এই বৈঠক হয়। কিন্তু সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, ভোটের ফলঘোষণার কারণেই বৈঠকটি এগিয়ে আনা হয়েছে।

ভোটের ফলাফল সংসদের আলোচ্যসূচিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। লোকসভা ভোটের আগে এই অধিবেশনে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পারে বিরোধীরা। আবার ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিলও সংসদে পাশ করিয়ে নিতে পারে কেন্দ্র। সংসদে ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ তোলায় অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণও হতে চলেছে সংসদের এই অধিবেশনে।

Advertisement

তদন্তের পরে লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করে লোকসভার স্পিকারের কাছে। এই বিষয়ে আলোচনা হলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে হইচই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কংগ্রেস, সিপিএম, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলি প্রথম থেকেই মহুয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ধীরে চলোর নীতি নেওয়ার পর মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দল তৃণমূলও।

বাদল অধিবেশনের শেষ দিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আইনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক ওই তিনটি বিলে আইন থেকে ‘ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ জমানার প্রভাব এবং দাসত্বের মানসিকতা দূর করবে’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এই তিনটি বিলও পাশ করানো হতে পারে সংসদের এই অধিবেশনেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement