লাইনচ্যুত। কালবুর্গিতে দুরন্ত। কালকায় টয় ট্রেন (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
একই দিনে দেশের দু’প্রান্তে বেলাইন ট্রেন। হিমাচল প্রদেশে টয়ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্রিটিশ পর্যটক। কর্নাটকের কালবুর্গিতে দুরন্ত এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে দুই যাত্রীর।
জোড়া দুর্ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠল রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। দীর্ঘদিন যাত্রিভাড়া না বাড়ানোয় এক সময় রেলের কোষাগাড়ের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন হয়ে পড়ে। তখন যাত্রিসুরক্ষার বিষয়টির দিকে সে ভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হতো না। তবে ইউপিএ জমানার শেষে এবং মোদী সরকারের প্রথম বছরেই ভাড়া বাড়ানো হয় অনেকখানি। তার পরেও যে সুরক্ষা ব্যবস্থার খামতি রয়ে গিয়েছে, সে দিকে আঙুল তুলল এ দিনের ঘটনা— বলছে রেল মন্ত্রকের একাংশই। শুধু এ দিনের দুর্ঘটনাই নয়, অগস্ট মাসে মধ্যপ্রদেশে এক রাতে জোড়া দুর্ঘটনা ও এ মাসের গোড়ায় তামিলনাড়ুতে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা এই দেখভাল বা নজরদারির অভাবেই ঘটেছে বলে দাবি ওই অংশের। অনেকেই বলছেন, নরেন্দ্র মোদী স্বপ্ন দখছেন বুলেট ট্রেনের। অথচ বর্তমান ব্যবস্থাতেই প্রতি মাসে একটা-দুটো করে দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও দুঃখপ্রকাশ করেই কাজ সেরেছেন এ দিন।
শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ কালকা ও টাঁকশাল স্টেশনের মাঝে একটি টয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মারা যান দুই ব্রিটিশ পর্যটক। ট্রেনটিতে ৫৭ জন পর্যটক ছিলেন বলে খবর। প্রত্যেকেই ব্রিটিশ। দুর্ঘটনায় জখম হন আরও অনেকে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক এজেন্টের মাধ্যমে চার বগির ওই ট্রেনটিকে ভাড়া করেছিলেন পর্যটকদের দলটি। অতিরিক্ত গতির জন্যই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শনিবারই দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ কর্নাটকের কালবুর্গি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মার্তুর স্টেশনের কাছে মুম্বইগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় দু’জন মারা যান। জখম আট। আহতদের গুলবর্গার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার প্রতি ২ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ এবং অল্প চোট পেয়েছেন যারা তাঁদের ২৫,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।