বিজেপিতে যোগ দিলেন সুনীল সাঙ্গন। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি সুনারিয়া জেলের সুপার থাকাকালীন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গুরমিত রাম রহিম ছয় বার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কখনও প্যারোলে, কখনও বা বিশেষ কারণে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। হরিয়ানার সুনারিয়া জেলের সেই প্রাক্তন সুপার সুনীল সাঙ্গন এ বার যোগ দিলেন বিজেপিতে। সামনেই বিধানসভার ভোট রয়েছে হরিয়ানায়। আসন্ন নির্বাচনে তাঁর পদ্মের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সূত্রের খবর, হরিয়ানার চড়খি দাদরি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে পারেন তিনি।
সুনীল যে হরিয়ানার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল বিগত বেশ কিছু দিন ধরে। বিশেষ করে তাঁর বাবা প্রাক্তন মন্ত্রী সৎপাল সাঙ্গন দু’মাস আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জল্পনা আরও বেড়েছিল। দু’দিন আগেই গুরুগ্রাম জেলা সংশোধনাগারের সুপার পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর ঘোষণা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দুই দশকের কর্মজীবনে পাঁচ বছর সুনারিয়া জেলের দায়িত্বে ছিলেন সুনীল। দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ ও এক সাংবাদিককে খুনের মামলা দোষী সাব্যস্ত রাম রহিমও ওই একই সময়ে সাজা কাটাচ্ছিলেন সুনারিয়া জেলে।
ধর্ষণ ও খুনের আসামি রাম রহিম এখনও পর্যন্ত ১০ বার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কখনও প্যারোলে, তো কখনও বিশেষ কারণে। তার মধ্যে ছ’বারই এই ঘটনা ঘটেছে সাঙ্গন জেল সুপার থাকাকালীন। তার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে ৪০ দিনের প্যারোল। ২১ জানুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত। হরিয়ানার বন্দিদের ভাল আচরণ (সাময়িক মুক্তি) আইন, ২০২২ অনুযায়ী বন্দিদের প্যারোল কিংবা সাময়িক মুক্তির জন্য জেলাশাসককে সুপারিশ করেন জেল সুপারই। তবে সিদ্ধান্ত নেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সুনীলের পিতা প্রাক্তন মন্ত্রী সৎপাল রাজনৈতিক জীবনে একাধিক বার দলবদল করেছেন। কখনও বিজেপিতে, কখনও আবার কংগ্রেসে। হরিয়ানা বিকাশ পার্টির নেতা বংশীলালের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। সেই দল থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস দলের টিকিটে বিধায়ক হন। এর পর কংগ্রেস, জননায়ক জনতা পার্টি, বিজেপি হয়ে আবার কংগ্রেসে ফিরেছিলেন। বিধানসভা ভোটের মুখে দু’মাস আগেই আবার দল বদলে তিনি গিয়েছেন বিজেপিতে। সেই তাঁর পুত্র সুনীলও বিজেপিতে যোগ দিলেন।