ফাইল ছবি
দেশ জুড়ে ‘বিদ্বেষ’ এবং ‘অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ’ তৈরির প্রচেষ্টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলারা। এ বার পাল্টা খোলা চিঠি দিয়ে এই উদ্যোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত’ এবং ‘মোদী সরকার বিরোধী’ বললেন প্রাক্তন আমলা এবং বিচারপতিদের একাংশ।
নিজেদের ‘সচেতন নাগরিক’ হিসাবে পরিচয় দিয়ে ওই প্রাক্তন আমলা এবং বিচারপতিদের একাংশ জানিয়েছেন, প্রাক্তন আমলাদের অন্য একটা অংশ খোলা চিঠিতে যে দাবি তুলেছেন তা তাঁরা বিশ্বাস করেন না। প্রসঙ্গত, আগের বার প্রধানমন্ত্রীকে ওই চিঠি দিয়েছিল ‘কনস্টিটিউশনাল কন্ডাক্ট গ্রুপ’(সিসিজি) নামে প্রাক্তন আমলাদের সংগঠন। ‘সচেতন নাগরিক’-এর মতে জনমত যে হেতু প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে রয়েছে তাই আগের বার ‘হতাশাগ্রস্ত’ হয়ে ওই চিঠি পাঠিয়েছে সিসিজি।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করা প্রাক্তন বিচারপতি এবং আমলাদের মধ্যে রয়েছেন সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পেরমোদ কোহলী, প্রাক্তন বিদেশ সচিব কানওয়াল সিব্বল এবং প্রাক্তন ‘র’ প্রধান সঞ্জীব ত্রিপাঠি-সহ আট প্রাক্তন বিচারপতি, ৯৭ জন আমলা এবং ৯২ সেনা বাহিনীর আধিকারিক। যারা মোদীকে লেখা এই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। অন্য দিকে, সিসিজি-র চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ১০৮ জন আমলা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে লেখা ‘সচেতন নাগরিক’-এর খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সিসিজি-র আগের চিঠি প্রকৃতপক্ষে ঘৃণার রাজনীতিকেই ইন্ধন দিচ্ছে। ওই সংগঠনের সদস্যেরা ভুল ধারণা এবং মিথ্যা চিত্রায়নের মধ্যে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কৌশলী লড়াই শুরু করছেন।’ বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তুলে লেখা হয়েছে, এ বিষয়ে ‘নীরবতা’ তাঁদের ‘নীতিহীন দৃষ্টিভঙ্গি’র প্রকাশ।