Sanjiv Bhatt

গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা সেই আইপিএস অফিসারের অন্য মামলায় যাবজ্জীবন

গুজরাতের জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন সঞ্জীব ভট্ট। সেইসময় লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং তাঁর সমর্থকদের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে জামজোধপুর এলাকায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জামনগর শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৯ ১৭:৪২
Share:

সঞ্জীব ভট্ট। —ফাইল চিত্র।

গুজরাত দাঙ্গায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মুসলিমদের উপর যাবতীয় আক্রোশ যাতে হিন্দুরা মিটিয়ে নিতে পারেন, দাঁড়িয়ে থেকে মোদী নিজে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিন দশক পুরনো একটি মামলায় সেই আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্টকে এ বার যাবজ্জীবন সাজা শোনাল জামনগর দায়রা আদালত।

Advertisement

জামনগর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন এক বন্দির মৃত্যুতে সঞ্জীব ভট্টের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছিল। সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সাজা হয়েছে আর এক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রবীণসিন জালারও। দোষী সাব্যস্ত আরও ছয় পুলিশ অফিসারের সাজা ঘোষণা এখনও বাকি।

১৯৯০ সালের ঘটনা। গুজরাতের জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন সঞ্জীব ভট্ট। সেইসময় লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং তাঁর সমর্থকদের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে জামজোধপুর এলাকায়। সেই ঘটনায় প্রায় ১৫০ জনকে আটক করেন সঞ্জীব ভট্ট। তাঁদের মধ্যে প্রভুদাস বৈষ্ণণী নামের এক ব্যক্তিও ছিলেন। ছাড়া পাওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়। হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি নির্যাতনেই প্রভুদাসের মৃত্যু হয়েছে বলে সেইসময় দাবি করে তাঁর পরিবার। পরবর্তী কালে এ নিয়ে থানায় এফআইআরও দায়ের করেন প্রভুদাসের ভাই। তাতে সঞ্জীব ভট্ট এবং আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: মৃত্যু বেড়ে ২, বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত ভাটপাড়া নিয়ে বৈঠক নবান্নে, জারি ১৪৪ ধারা​

সেই মামলা চলাকালীন ২০১১ সালে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সঞ্জীব ভট্টকে সাসপেন্ড করা হয়। ২০১৫-র অগস্ট মাসে সরকারি গাড়ি অপব্যবহারের অভিযোগে বরখাস্তও করা হয় তাঁকে।

বরাবরই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কট্টর সমালোচক সঞ্জীব ভট্ট। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং আরও দু’জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার তদন্ত বিপথে চালিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গায় যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ভট্ট। যদিও শীর্ষ আদালত নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল সিট সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। মোদ নিজেও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না’, দলের সভাপতি নির্বাচনে জড়াতে চান না রাহুল​

১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্ট এই মুহূর্তে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। দু’দশকেরও বেশি পুরনো একটি মাদক মামলায় গতবছর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বনসকাঁণ্ঠার ডিএসপি থাকাকালীন সুমেরসিংহ রাজপুরোহিত নামের এক আইনজীবীকে মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করেন তিনি। কিন্তু ভুয়ো অভিযোগে রাজপুরোহিতকে ফাঁসানো হয়েছিল বলে পরবর্তীকালে তদন্তে উঠে আসে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

প্রখবরটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় ভুলবশত দায়রা আদালতের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement