খুনে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিংহের জামিন, নীতীশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। ছবি: সংগৃহীত।
জেলাশাসককে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল বিহারের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পরে দোষী সাব্যস্ত হন আরজেডির ওই সাংসদ আনন্দ মোহন সিংহ। প্রায় ১৪ বছর কারাবাসের পরে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজ্যের সহরসা জেল থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। বিহার সরকার সম্প্রতি জেলবিধিতে বড় পরিবর্তন করেছে। নয়া বিধিতে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে যাঁরা জেলবন্দি রয়েছেন, তাঁদের আগাম মুক্তি দেওয়া হবে। যদিও মৃত জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘ন্যায়বিচার’ চাইতে চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কৃষ্ণাইয়ার কন্যাও বিহার সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন।
১৯৯৪ সালে গোপালগঞ্জের জেলাশাসক কৃষ্ণাইয়াকে হত্যা করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় আনন্দকে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল কৃষ্ণাইয়াকে। বিহার সরকারের জেলবিধিতে পরিবর্তনের জেরে ১৪ বছর পর জেলমুক্ত হলেন আনন্দ। কিছু দিন আগেই পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে ১৫ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন এই গ্যাংস্টার-রাজনীতিক। বুধবারই তাঁর প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়। তার পর দিনই জেলমুক্ত হলেন তিনি। এই বিষয়ে আনন্দের পুত্র তথা আরজেডির বিধায়ক চেতন আনন্দের বক্তব্য জানা যায়নি। তাঁর ফোন ‘সুইচড অফ’ রয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ‘সুশাসনবাবু’ ভাবমূর্তি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জোটসঙ্গী আরজেডির চাপেই এই সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আনন্দ জাতিগত পরিচয়ে রাজপুত। বিহারে ভোটের অঙ্কে গুরুত্বপূর্ণ রাজপুতদের মন জয়ের জন্যই লোকসভা ভোটের আগে এই পদক্ষেপ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।