Land For Job Scam

জমির বদলে রেলে চাকরি! নিয়োগ দুর্নীতিতে এ বার দিল্লিতে ইডির জেরার মুখে লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী

আগে এই মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন রাবড়ী দেবী। এই মামলাতেই সিবিআইয়ের তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং লালুর কন্যা মিসা ভারতীকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৩:৫৭
Share:

নিয়োগ দুর্নীতিতে এ বার দিল্লিতে ইডির জেরার মুখে লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী। ফাইল চিত্র।

জমির বদলে চাকরি দুর্নীতি মামলায় আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ী দেবীকে জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অর্থ তছরুপ সংক্রান্ত এই মামলায় তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। এর আগে এই একই মামলায় আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন রাবড়ী দেবী। এই মামলাতেই এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় লালুপুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং লালুর কন্যা মিসা ভারতীকে।

Advertisement

‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় লালু, রাবড়ী দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে। তার পরেই নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ শুরু করে সিবিআই এবং ইডি। এর আগে অসুস্থ লালু এবং তাঁর কন্যা মিসাকে এই মামলায় সিবিআই টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। পটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাবড়ীকেও। তবে এই মামলায় রাবড়ীরে ইডি জেরা এই প্রথম। সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাবড়ী-পুত্র তেজস্বী-সহ ৯ জন বিরোধী নেতানেত্রী। ঘটনাচক্রে তার পরই রাবড়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।

Advertisement

লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লির ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যায় রাবড়ী দেবীর গাড়ি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement