নীতীশ এবং জিতনরাম (বাঁ দিক থেকে)। — ফাইল চিত্র।
‘স্লো পয়জ়নিং’-এর শিকার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুক্রবার এই দাবি করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা (হাম)-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিতনরাম মাঝিঁ। এক সপ্তাহে দু’বার বিধানসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির সহযোগী হামের বিধায়ক জিতনরাম বলেন, ‘‘নীতীশ কুমারের খাবারের কেউ বা কারা বোধহয় বিষ মেশাচ্ছে। ফলে তিনি অপ্রকৃতিস্থের মতো আচরণ করছেন। উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।’’
মঙ্গলবার বিহার বিধানসভায় জাতসমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে বিহারের আরজেডি-জেডি(ইউ) জোট সরকার। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ জানান, বিহারের জন্মহার ৪.২ থেকে ২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মেয়েদের শিক্ষার উপর জোর দিয়ে নীতীশ যে মন্তব্য করেন, তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বিজেপি-সহ বিহারের বিরোধী দলগুলি নীতীশের ওই মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ এবং ‘অশোভনীয়’ বলে দাবি করে। বিতর্কের জেরে বিধানসভায় ক্ষমা চান নীতীশ।
কিন্তু শুক্রবারই নয়া বিতর্কে জড়ান জেডিইউ প্রধান নীতীশ। বিহারে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর (ওবিসি) ও তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কের সময় তিনি দলিত নেতা জিতমরাম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে এর পরে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় নীতীশের একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি)৷ সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রয়াত নেতা মহাবীর চৌধুরীর ছবির বদলে তাঁর ছেলে তথা জেডিইউ নেতা অশোক চৌধুরীর মাথার উপরেই ফুল ছড়াচ্ছেন নীতীশ।
জিতন এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমি বয়সে নীতীশের চেয়ে অনেকটাই বড়। বহুবার রাজনৈতিক মতভেদ ঘটলেও আগে উনি কখনও আমার সম্পর্কে এমন কথা বলেননি। এখন দেখছি উনি প্রায়ই অপ্রকৃতিস্থের মতো আচরণ করছেন। জানতে পেরেছি ওঁর খাবারে বিষ মেশানো হচ্ছে।’’ জিতনের আরও দাবি, নীতীশ এখন রাতভর না ঘুমিয়ে হঠাৎ হঠাৎ মন্ত্রী-আমলাদের ফোন করে নানা অদ্ভূত কথা বলছেন।