জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী জ্যাকলিনের জামিনের বিষয়ে রায় না দিলেও আদালতের প্রশ্ন, অপরাধের তথ্যপ্রমাণ থাকলেও কেন এত দিন অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেনি ইডি? বৃহস্পতিবার দিল্লির পটিয়ালা হাউস আদালত জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করতে পারবে না তাঁকে। অবশ্য আদালত এ-ও জানিয়েছে যে, শুক্রবার এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে তারা।
২০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপের ঘটনায় ‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। অগস্ট মাসে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তছরুপ মামলায় নাম জড়ানোর পর ইডি তলব করেছিল তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেককেই থানায় হাজিরা দিতে ডেকেছিল দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। সেখানে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় ইডি।
আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন ইডি অভিযোগ জানায়, জ্যাকলিন তাঁর মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি, এমনও অভিযোগ ওঠে। তার পরই ইডির তরফে বলা হয়, অভিনেত্রী দেশ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন এর মাঝেই। কিন্তু ‘লুক আউট’ নোটিস জারি থাকায় সম্ভব হয়নি। আদালতে এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি পেশ করে ইডি এবং অভিনেত্রীর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে। তখনই আদালত জানিয়েছিল ১০ নভেম্বর এ নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।
বৃহস্পতিবার আদালতে জ্যাকলিনের আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল তাঁর মক্কেলের হয়ে সওয়াল করে জানান, জ্যাকলিন আদৌ তদন্তে অসহযোগিতা করছেন না। বরং ইডির আধিকারিকরা যে পাঁচ বার অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছেন, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি এ-ও জানান যে, সুকেশের যে অতীত অপরাধের রেকর্ড আছে এবং তিনি আগে জেল খেটেছেন, তা জ্যাকলিন জানতেন না।