প্রতীকী ছবি।
এনকাউন্টার, ধর্ষণ, গণপিটুনর পর ফের সংবাদ শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। এ বার যোগী রাজ্যে পিটিয়ে খুন করা হল পর পর তিন বারের প্রাক্তন বিধায়ক নির্বেন্দ্রকুমার মুন্নাকে। জমি বিবাদের জেরে প্রাক্তন বিধায়ক ও তাঁর ছেলে সঞ্জীবকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্বেন্দ্রর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন সঞ্জীব। লখীমপুর খেরি এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যোগী সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি।
বিবাদের সূত্রপাত লখীমপুর খেরির ত্রিকোলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি জমির দখল ঘিরে। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে নির্বেন্দ্রকুমারের সঙ্গে কিষাণকুমার গুপ্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার ঝামেলা চলছিল। এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। তার মধ্যেই রবিবার লাঠিসোটা-সহ দলবল নিয়ে কিষাণ ওই জমি দখল করতে যান বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় নির্বেন্দ্র ও তাঁর ছেলেকে। পরে নির্বেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সঞ্জীবের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
১৯৮৯, ১৯৯১ সালে পর পর দু’বার নির্দল প্রার্থী হিসেবে লখীমপুরের নিঘাসন কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন নির্বেন্দ্র। ১৯৯৩ সালে দাঁড়ান সমাজবাদী পার্টির টিকিটে। সে বারও জয় পান। সেই মেয়াদ শেষের পর থেকে অবশ্য নিজেকে রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নেন নির্বেন্দ্র।
আরও পড়ুন: রাতের শহরে গাড়ি রুখে তরুণী উদ্ধার দম্পতির, স্ত্রীকে পিষে পালাল অভিযুক্ত
আরও পড়ুন: ‘আসছি মুম্বই’, শিবসেনা নেতা সঞ্জয়ের চ্যালেঞ্জ ফিরিয়ে হুঙ্কার কঙ্গনার
সেই নির্বেন্দ্রকেই এই ভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ দিন ওই বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন এলাকাবাসী। পাশপাশি এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের পুলিশ। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘‘আরও এক জন ব্রাহ্মণ খুন। উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ ক্রমেই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে।’’ সরকারকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে দাবি তুলেছে সমাজবাদী পার্টি।