প্রতীকী ছবি।
খানিকটা হলেও আজ দুপুরের পর থেকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে সরিস্কার জঙ্গলের আগুন। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন বন দফতরের অফিসারেরা। আগামী কালের মধ্যে আগুন পুরোপুরি ভাবে নিভে যেতে পারে বলেও আশার কথা শুনিয়েছেন তাঁরা। গত কালের থেকে আজ অন্তত ৫০ শতাংশ এলাকার আগুন নিভে গিয়েছে বলেও জানিয়েছে বন দফতর। আজ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
আরাবল্লী পর্বতে ঘেরা রাজস্থানের অলওয়ার জেলার অন্তর্গত এই বাঘ সংরক্ষণ এলাকায় গত রবিবার প্রথম আগুন লেগেছিল। সোমবার তা নিয়ন্ত্রণে এলেও গত কাল পরিস্থিতি ফের খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। সব মিলিয়ে মোট ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা আগুনের কবলে চলে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকতে হয় বায়ুসেনাকে। সেনার দু’টি এমআই১৭ ভি৫ কপ্টার উপর থেকে জল ঢেলে আগুন কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু রাজস্থানের তীব্র তাপপ্রবাহ ও আরাবল্লী পর্বতের ঢালু এলাকার জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হচ্ছিল।
আজ বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে জঙ্গলের আগুন পুরোপুরি নেভেনি। এখনও অন্তত ৪ থেকে ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় আগুন জ্বলছে। আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচাতে সরিস্কা রেঞ্জের বাসিন্দাদের আগে থেকেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদিও বন দফতরের অনুমান, বন্য প্রাণীরা প্রাণ বাঁচাতে অন্য এলাকায় সরে গিয়েছে। আগুনের এলাকায় খুব সম্প্রতি চারটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ও পাঁচটি বাঘের ছানাকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারা দ্রুত সরে যেতে পেরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। জঙ্গলের আগুন পুরোপুরি নিভে না যাওয়া পর্যন্ত তা জানা সম্ভব না বলেই বন কর্তাদের মত। তবে আকাশ পথে বায়ুসেনার কপ্টার যেমন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, মাটিতেও কম করে ২০০ লোক আগুনের সঙ্গে লড়াই করছেন বলে জানানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও দমকলের কর্মীরা যেমন রয়েছেন, তেমন রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
২৭টি বাঘ ছাড়াও এই জঙ্গলে চিতাবাঘ, নীলগাই, সম্বরের মতো প্রাণী ও অজস্র পাখির বাস। তবে এই ভয়াবহ আগুনে বন্যপ্রাণের বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই মনে করছে বন দফতর।