লোকসভা ভোটের আগে কর্নাটকের সাফল্যকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস? ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের আধমরা গাঙে নবজোয়ার এনেছে কর্নাটক বিধানসভার ফল। শুধু তা-ই নয়, আসনপ্রাপ্তি এবং ভোটের হারের নিরিখেও মিলেছে আশাতীত সাফল্য। শেষ বার ১৯৮৯ সালে দক্ষিণের এই রাজ্যে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল দেশের শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। সে বার কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ১৭৮টি আসন। ভোট শতাংশের নিরিখে ৪৩.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। প্রায় চল্লিশ বছর পর, ২০২৩ সালে এসে, বিজেপির মোদী-শাহ আমলে কংগ্রেসের ভোট শতাংশের হার পৌঁছল ৪২.০৯ শতাংশে। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস পেল ১৩৬টি আসন।
ভোট শতাংশের নিরিখে ১৯৯৯ সালেও অবশ্য ৪০-এর ঘর অতিক্রম করেছিল কংগ্রেস। সে বার বিধানসভা নির্বাচনে ৪০.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। পেয়েছিল ১৩২টি আসন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাবে, পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৮০টি আসন। বিজেপি এবং জেডি(এস)-এর ঝুলিতে যথাক্রমে ১০৪ এবং ৩৭টি আসন। ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপি পেয়েছিল ৩৬.২২ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৮.০৪ শতাংশ ভোট। পরিসংখ্যান বলছে, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক মোটের উপর অটুট রয়েছে। তারা পেয়েছে ৩৬ শতাংশ আসন। অন্য দিকে, কংগ্রেসের ভোট শতাংশ প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪২.০৯ শতাংশ। বিজেপির কিছু ভোট নিজেদের অনুকূলে টানার পাশাপাশি রাজ্যের আঞ্চলিক দল জেডি(এস)-এর ভোটব্যাঙ্কে ভাল রকম থাবা বসিয়েছে হাত শিবির।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গত বারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দল পেয়েছিল ১৮.৩৬ শতাংশ ভোট। এ বারে তা-ই কমে এসেছে ১৩.৩ শতাংশে। যা থেকে ভোট কারবারিদের একাংশের পর্যবেক্ষণ রাজ্যে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে জেডি(এস) এবং কর্নাটক আগামিদিনে কংগ্রেস এবং বিজেপি— এই দু’দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই দেখতে চলেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপি এবং অন্য দলগুলির তুলনায় এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। এ বারেও তার অন্যথা হল। তাই লোকসভা ভোটের আগে এই জয়কে গুরুত্ব দিতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, “রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা কর্নাটকের যে যে পথ ধরে এগিয়েছে, সেগুলোর প্রায় ৯৯ শতাংশে জয়ী হয়েছি আমরা।”