National News

কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে

গত বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে এফআইআর করেন মনোজের পুত্রবধূ। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৩১ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী, ভাই আর এক তুতো বোনকে নিয়ে মীরা বাগে শ্বশুর বাড়ি যাবেন বলে তাঁর পিত্রালয় থেকে রওনা হন। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁদের নিয়ে যান পশ্চিম বিহার এলাকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ১৫:০৮
Share:

অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মনোজ শোকিন। -ফাইল চিত্র

পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপির এক প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। দিল্লি বিধানসভার দু’-দু’টি আসন থেকে পর পর দু’বার জয়ী বিজেপি নেতা মনোজ শোকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ৩১ ডিসেম্বরের গভীর রাতে তিনি পুত্রবধূর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। পুত্রবধূ ও তাঁর ভাইকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। বিজেপির ওই প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে এফআইআর করেন মনোজের পুত্রবধূ। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৩১ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী, ভাই আর এক তুতো বোনকে নিয়ে মীরা বাগে শ্বশুর বাড়ি যাবেন বলে তাঁর পিত্রালয় থেকে রওনা হন। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁদের নিয়ে যান পশ্চিম বিহার এলাকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে।

এফআইআরে মনোজের পুত্রবধূ লিখেছেন, ‘‘আমরা হোটেলে পৌঁছে দেখি, সেখানে আগেভাগেই পৌঁছেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাঁরা বর্ষবরণের উৎসবে মেতে রয়েছেন। অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি চলার পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আমি ফিরে যাই শ্বশুর বাড়িতে। সঙ্গে যান আমার স্বামী। কিন্তু বাড়িতে আমাকে পৌঁছে দিয়েই বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে যান স্বামী। ক্লান্ত থাকায় আমিও দেরি না করে শুয়ে পড়ি।’’

Advertisement

আরও দেখুন- ছিল ২৫টি গাড়ি, শিকারের নেশা, নিঃস্ব অবস্থায় শেষ জীবন কাটে বিলাসী এই দেশীয় রাজার​

আরও পড়ুন- উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে আনা হল এমসে​

মনোজের পুত্রবধূর অভিযোগ, রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ তাঁর দরজায় ধাক্কা মারতে শুরু করেন তাঁর শ্বশুর। সেই শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। জরুরি কথা রয়েছে বলে মনোজ পুত্রবধূকে তাঁর ঘরের দরজা খুলতে বলেন।

এফআইআরে মনোজের পুত্রবধূ লিখেছেন, ‘‘ঘরে ঢুকেই উনি (মনোজ) আমার গায়ে হাত দিতে শুরু করেন। উনি মদ্যাপন করেছিলেন বলে আমি ওঁকে বলি, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ুন। কিন্তু উনি আমার কথা না শুনে পকেট থেকে বন্দুক বের করে আমার কপালে ঠেকিয়ে বলেন, কথা না শুনলে আমাকে ও আমার ভাইকে মেরে ফেলবেন। তার পরেই আমাকে ধর্ষণ করেন। আমার আর ভাইয়ের জীবনের কথা ভেবে আমি এত দিন মুখ বুঁজে ছিলাম।’’

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আউটার) সেজু পি কুরুভিল্লা বলেছেন, ‘‘ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement