জোম্যাটো, সুইগি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য সারা ভারতে পরিষেবা বন্ধ থাকে। ফাইল চিত্র
মধ্যাহ্নভোজের সময় যখন সমস্ত ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খাবার আনাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়, ঠিক তখনই শুরু হল গোলযোগ। বুধবার দুপুরে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসে অস্থায়ী ত্রুটি ঘটায় জোম্যাটো, সুইগি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য পরিষেবা বন্ধ থাকে। যে গ্রাহকেরা সেই সময় খাবার কিনবেন বলে অ্যাপে ঢুকেছিলেন অথবা যাঁদের খাবার ইতিমধ্যেই ফুড ডেলিভারি আধিকারিক গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছিলেন, তাঁরা সকলেই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
গোলযোগ দেখা দেওয়ার আধ ঘন্টা পর আসল সমস্যার সমাধান হয়ে গেলেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই নিয়ে জনতার অভিযোগের ঝড় বয়ে যায়।
গ্রাহকেরা ওই সময়ে খাদ্যতালিকা দেখা থেকে শুরু করে খাবার কেনা— কোনও কিছুই করতে পারেননি।
জোম্যাটো ও সুইগি, দু’ই অ্যাপের গ্রাহক পরিষেবা বিভাগ জানায়, ‘আমরা এই অস্থায়ী ত্রুটির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
মধ্যাহ্নভোজের সময়ে এই দুই জনপ্রিয় অ্যাপে যান্ত্রিক গোলযোগ নিয়ে সরব হন জনতা। নেটমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি চলতে থাকে রঙ্গব্যঙ্গও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন স্ক্রিনশট আপলোড করে নেটাগরিকরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গয়াল আইপিএল চলাকালীন দশ মিনিটের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই সময় জনতা আবেদন করেছিল, খাবার ৩০ মিনিটে পৌঁছলেও ক্ষতি নেই। দশ মিনিটের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার সময় যেন ফুড ডেলিভারি আধিকারিকদের কোনও সমস্যা না হয়।
অতিমারির সময় এই দুই সংস্থার ব্যবসা খানিক মার খেলেও পরে স্বাভাবিক হয়ে আসে। বাড়ি থেকে কাজের পর্বে অনেকেই নির্ভর করতে শুরু করেন এই দুই সংস্থার পরিষেবার উপর। এই মুহূর্তে এই দুই অ্যাপের জনপ্রিয়তা বিপুল। ফলে আধ ঘণ্টার পরিষেবা বন্ধে শোরগোল হওয়া স্বাভাবিক।