প্রাতরাশে ডিম খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। প্রাতরাশে ডিম খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ডিমে থাকা ভিটামিন, নানা প্রকার খনিজ ও অন্যান্য উপকারী উপাদান ওজন ঝরাতেও দারুণ কার্যকর। শরীরের ক্যালোরি ঝরিয়ে রোগা হতে চাইলে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন ডিম।
কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতরাশ না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলে ওজন কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। চটজলদি নাস্তা বানাতে হলে ডিমের অমলেট দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। তবে সাধারণ ডিমের ওমলেট খেলে চলবে না! ডিমের সঙ্গে কী মেশালে দ্রুত ক্যালোরি ঝরবে জানেন কি?
কোন উপায়ে অমলেট বানালে ওজন ঝরবে দ্রুত?
১) অনেকেই মনে করেন ডিমের কুসুম খেলে বুঝি ওজন বেড়ে যায়! এই ধারণা একেবারেই ভুল। শুধু অমলেট দিয়েই যদি প্রাতরাশ করতে চান, তা হলে দু’টি ডিমের সাদা অংশ আর একটি গোটা ডিম একসঙ্গে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। একটি ডিমের সাদা অংশে প্রায় চার গ্রাম প্রোটিন থাকে। কুসুম ও সাদা অংশ মিলিয়ে আনুমানিক ছ’গ্রাম প্রোটিন থাকে। শুধু তা-ই নয়, ডিম ভিটামিন বি, ডি, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজেও ভরপুর। ফলে ডিম খেলে পেট ভরবে আর স্বাস্থ্যরক্ষাও হবে।
প্রতীকী ছবি
২) ডিমের মধ্যে বিভিন্ন রকম সব্জি মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরে প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবারও ঢুকবে। পেঁয়াজ, টমেটোর পাশাপাশি অমলেট বানানোর সময়ে পালং শাক দিতে পারেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পালং শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণও একেবারে কম। টমেটো দিলে পালং শাকের মধ্যে থাকা আয়রন শরীরে বেশি মাত্রায় শোষিত হবে। ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩) অমলেটে ক্যাপসিকামও মিশিয়ে নিতে পারেন। ভিটামিন সি, কে, এ এবং ফাইবারে ভরপুর এই সব্জি অমলেটে মেশালে পেট বেশি ক্ষণ ভরা থাকবে। এতে ক্যালোরির মাত্রাও কম। স্বাদ বাড়াতে অমলেটে ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন।
৪) ডিমের অমলেটের মধ্যে জলে ভিয়ে রাখা ওট্স দিতে পারেন। মেদ ঝরাতে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। ওটমিলে ক্যালোরি প্রায় থাকে না বললেই চলে। ডিমের অমলেটে সঙ্গে ওট্স মিশিয়ে খেলে বিপাক হার বেড়ে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।