অসমে জলমগ্ন এলাকা। ছবি: পিটিআই।
বন্যা পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে অসমে। প্রায় ৩৫ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধেমাজি, লখিমপুর, জোরহাট এবং শিবসাগর— এই চার জেলার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে সোমবার এই খবর জানা গিয়েছে।
নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ এবং অন্য নদীগুলির জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। জোরহাট জেলার নিমতিঘাট এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। ১১১টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
শিবসাগর জেলায় দিসাং নদীর জলে বেশ কিছু নিচু এলাকা জলমগ্ন। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, লখিমপুর জেলায় ১৮ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ধেমাজি জেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দা। ১৮২৬৮টি গৃহপালিত পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪৭৯.২৭ হেক্টর জমি জলের তলায়।
অন্য দিকে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভাসছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারত। দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। সোমবার দিল্লিতে সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণের জেরে ধস, হড়পা বানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে হিমাচলে। হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরেরও বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। দুর্যোগ কেরলেও। দক্ষিণের ওই রাজ্যে টানা বৃষ্টিতে রবিবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।