Gujarat Rain

গুজরাতে ‘জলতাণ্ডব’! ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি জুনাগড়, কচ্ছ-সহ বহু জেলায়, রাজ্যে মৃত ৯

মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে না। ২ জুলাই জুনাগড়, জামনগর, ভালসার এবং সুরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১১:১৮
Share:

গির সোমনাথ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। রাস্তা না নদী বুঝে ওঠাই দায়। ছবি: পিটিআই।

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে গুজরাতের বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত দু’দিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে জামনগরেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাতের বহু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সব রকম সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।”

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসন একযোগে ত্রাণ বিলি এবং উদ্ধারের কাজ করছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শহর এবং গ্রামাঞ্চলের নীচু এলাকাগুলির অবস্থা ভয়াবহ। ওই নীচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কচ্ছ, জামনগর, জুনাগড় এবং নবসারি জেলার। গত ২৪ ঘণ্টায় সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এবং দক্ষিণ গুজরাতে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

জুনাগড়ে রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। ছবি: পিটিআই।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, শনিবার জুনাগড় জেলার বিসাভাদর তালুকে ৩৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জামনগর জেলার জামনগর তালুকে ২৬৯ মিলিমিটিরা। ভালসারের কাপরাদায় ২৪৭ মিলিমিটার, কচ্ছের আঞ্জরে ২৩৯ মিলিমিটার, এবং নবসারির খেরগামে ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে না। ২ জুলাই জুনাগড়, জামনগর, ভালসার এবং সুরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই প্লাবিত হয়ে আছে ওই জেলাগুলির বহু জায়গা। নতুন করে আবার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজ্য প্রশাসন। কোনও কোনও গ্রামে ৫ ফুট পর্যন্ত জল উঠে গিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি জুনাগড় জেলার। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে এই জেলায়। জুনাগড়ে ওজাত এবং হিরণ বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে রাস্তা এবং বহু সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ফলে বহু গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement