বন্যায় বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর চার জেলা। — ফাইল চিত্র।
ক্রমাগত ভারী বৃষ্টি। তার জেরে তামিলনাড়ুর চার জেলায় মারা গিয়েছেন ৩১ জন। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রাজ্য অভিযোগ করেছিল, কেন্দ্র যথেষ্ট অনুদান দিচ্ছে না। সেই অভিযোগ উড়িয়ে নির্মলা জানালেন, কেন্দ্র ইতিমধ্যে দুই দফায় ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে তামিলনাড়ুকে। চলতি অর্থবর্ষে খরচ করতে হবে সেই টাকা। পাল্টা আঙুল তোলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দিকেও।
তামিলনাড়ুতে বন্যাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত শুরু হয়েছে। একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছে তারা। রাজ্যের মন্ত্রী মানো থাঙ্গারাজ অভিযোগ করেছেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেরিতে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই অভিযোগ মানেননি নির্মলা। শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরে যথেষ্ট উন্নত মানের প্রযুক্তি রয়েছে। ১৭ তারিখ রাজ্যের চার জেলা— তেনকাসি, কন্যাকুমারী, তিরুনেলভেলি, তুতিকোরিনে ভারী বৃ্ষ্টি হতে পারে, সেই পূর্বাভাস ১২ ডিসেম্বর দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। নির্মলা আরও জানান, এর আগে ২০১৫ সালে এত বৃষ্টি হয়েছিল তামিলনাড়ুতে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে না আসে, তাই চার হাজার কোটি অনুদানের সদ্ব্যবহার করা উচিত ছিল সরকারের।
নির্মলা এও জানিয়ে দিয়েছে, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ কখনও ঘোষণা করা হয়নি। এ রকম কোনও রীতি নেই। তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় বিপর্যয় বলে কখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রেও তা করা হয়নি। তবে কোনও রাজ্য চাইলে তা করতে পারে। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘তামিলনাড়ুতে যখন এ রকম বিপর্যয় ঘটছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছেন।’’ বৃহস্পতিবারই স্ট্যালিন অভিযোগ করে জানান, এই বিপর্যয়ের সময় কেন্দ্র যথেষ্ট অনুদান দিচ্ছে না। রাজ্য নিজের টাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। স্ট্যালিনের সেই মন্তব্যকেই একহাত নেন নির্মলা। বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তুতুকোণ্ডি এবং তিরুনেলভেলিতে ৬০০০ টাকা করে প্রতি পরিবারকে অনুদান দিয়েছে স্ট্যালিনের সরকার। তেনকাসি, কন্যাকুমারীতে পরিবার প্রতি ১,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।