Manipur Violence

অমিত শাহের সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে আবার উত্তপ্ত মণিপুর, সংঘর্ষে পুলিশ কর্মী-সহ নিহত পাঁচ

মণিপুরে সংঘর্ষের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২ জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৯:৩০
Share:

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।

সোমবার মণিপুর রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তাঁর সফরের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। রবিবার মণিপুরে সংঘর্ষের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। আহতের সংখ্যা অন্তত ১২ জন।

Advertisement

রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশে দু’দিন আগে থেকেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। সাধারণ জনগণের উপর হামলা করছেন জঙ্গিরা। বীরেনের দাবি, মণিপুরের এই সংঘর্ষের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জঙ্গি হামলা রুখতে কড়া নজরদারিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় পাহারায় রয়েছে। একে ৪৭ এবং এম ১৬-এর মতো রাইফেল ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করছে জঙ্গিরা। বহু গ্রামের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ করছি। আমাদের কাছে খবর এসেছে যে ৪০ জন জঙ্গিকে ইতিমধ্যেই গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মণিপুরে যান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। মণিপুরের মাটিতে অমিত শাহের পা ফেলার আগে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে, সেটাই এখন প্রশাসনের মাথাব্যথা।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির মধ্য সংঘর্ষ চলছে। সে কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। মারা গিয়েছেন প্রায় ৭০ জন। গত ২৫ দিন ধরে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। বহু মানুষ ঘরছাড়া। তবে রবিবার ভোরের সংঘর্ষ এই দুই জনজাতির মধ্যে হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুকি জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

রাজ্যে ২৫টি কুকি জঙ্গি গোষ্ঠী শান্তিচুক্তি করেছে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে। সেই চুক্তি মেনে নির্দিষ্ট শিবিরে থাকার কথা তাদের। অস্ত্র পরিত্যাগ করার কথা। এই পরিস্থিতিতে কারা হামলা চালাল, কেন চালাল, সেই প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement