প্রতীকী ছবি
দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে আজ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল পাঁচ হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। ঘটনার সময়ে বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়েন স্থানীয়দের একাংশ। করোনা সতর্কতা জারির পরে এই প্রথম সংঘর্ষের সময়ে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটল। বাহিনীর দাবি, এ দিনের অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।
সেনা মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানান, শোপিয়ানের রেবান অঞ্চলে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। জঙ্গিরা যে বাড়িতে লুকিয়েছিল সেটিকে ঘিরে ফেলার পরে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। ছ’ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে পাঁচ জঙ্গির দেহ উদ্ধার করেছে বাহিনী। সেনার দাবি, নিহতদের মধ্যে রয়েছে হিজবুল কমান্ডার ফারুক আসাদ নাল্লি ও এক পাকিস্তানি জঙ্গি।
সেনা জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময়ে বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে স্থানীয়দের একাংশ। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ও শোপিয়ান জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সেনা মুখপাত্রের মতে, এই ধরনের অভিযান নিয়ে বারবার মহড়া দিয়েছে বাহিনী। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।
বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও ৩১টি সংঘর্ষে ৮০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। করোনা সতর্কতা জারির পর থেকে নিহত হয়েছে ৫২ জন। বার ছয়েক বাহিনীর হাত এড়িয়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। বাহিনীর মতে, জঙ্গি-দমন অভিযানে আপাতত সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন। শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ নাইকু-সহ তাদের ৩০ জন সদস্য নিহত হয়েছে। নিহত হিজবুল জঙ্গিদের অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিষ ইঞ্জেকশনে দাউদকে মেরেছে পাক সেনা?