—প্রতীকী ছবি।
২৪ ঘণ্টায় পাঁচটি ভূমিকম্প হল ভূস্বর্গে! শনিবার দুপুর ২টো থেকে রবিবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটের মধ্যে পাঁচ বার কেঁপে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীরের মাটি। ভারতের ভূকম্পতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এনসিএস)-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি ভূমিকম্পেরই উৎসস্থল ছিল আলাদা আলাদা জায়গায়। তবে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পগুলির তীব্রতা কম থাকায় কোনও প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার দুপুর ২টো ৩ মিনিটে প্রথম বারের জন্য কেঁপে ওঠে উপত্যকার মাটি। রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল সেটা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয় ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত পর্বতসঙ্কুল রামবান জেলা। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল লাদাখের লেহ্ থেকে ২৭১ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি জায়গায়। এই ভূমিকম্পের জেরেই রাত ৯.৪৪ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে লাদাখ এবং সংলগ্ন এলাকা। রিখটার স্কেলে তীব্রতার মান ছিল ৪.৫। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি ৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয় কাশ্মীরে। এনসিএস-এর তরফে জানানো হয়, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা অঞ্চল। উল্লেখ্য যে, ভারত-চিন সীমান্তবর্তী এই এলাকা পাঁচ দিনে আগেও কেঁপে উঠেছিল।
শনিবার গভীর রাতে ৪.১ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। কম্পনের উৎসস্থল লেহ্ থেকে ২৯৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি জায়গায়। শেষ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় রবিবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে। জম্মুর কাটরা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিমি পূর্বে ছিল এই কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.১। তীব্রতার নিরিখে রাত ৯.৪৪ মিনিটের ভূমিকম্পটিকেই এগিয়ে রাখছেন ভূতত্ত্ববিদরা। কাশ্মীর এমনিতে ভূকম্পপ্রবণ অঞ্চল হলেও শেষ কবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।