ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —রয়টার্স।
ব্রিটেনে বসবাস করা ‘অবৈধ’ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আগেই কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল সে দেশের কনজ়ারভেটিভ পার্টির সরকার। এ বার খাতায়কলমে তা প্রয়োগ করতে মাঠে নামলেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
সম্প্রতি ব্রিটেনে অবৈধ উপায়ে ঢুকে পড়া বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে সে দেশের অভিবাসন দফতর। দেশের নানা প্রান্তে চলছে ধরপাকড়। তেমনই একটি অভিযানে শামিল হলেন সুনকও। রীতিমতো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে অভিবাসন কর্মীদের সঙ্গে অভিযানে বেরোতে দেখা যায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশের ১০৫ জন ব্যক্তিকে অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রশাসনের আশা, এই গ্রেফতারির পর অন্য অনুপ্রবেশকারীরাও স্বেচ্ছায় ব্রিটেন ত্যাগ করবেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর লন্ডনের ব্রেন্ট-এ যে অভিযান চলছিল, তাতেই শামিল হয়েছিলেন সুনক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা তাঁর সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়বে। ২০২৪ সালে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে এই বিষয়টিকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছে কনজ়ারভেটিভ শিবির। সুনকের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানের কথায়। তিনি বলেন, “অবৈধ ভাবে যাঁরা দেশে রয়েছেন, তাঁদের জন্য আমাদের বহু যোগ্য শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের জন্য দেশেরও কোনও উপকার হচ্ছে না। কারণ তাঁরা কর দিচ্ছেন না।” অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ১০৫ জন ব্যক্তিকে পানশালা, সেলুন ইত্যাদি জায়গা থেকে ধরা হয়েছে। নাগরিকত্বের সপক্ষে তাঁরা যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছিলেন, তা ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।