গৌতম আদানি গোষ্ঠীর খবর না করার জন্য সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশ দিতে গররাজি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টকে ‘আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করে তদন্ত চেয়েছিলেন দুই আইনজীবী। অভিযোগ করেছিলেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম যাতে আদানিকাণ্ড নিয়ে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে পারে, সে বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলায়।
কিন্তু শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে অসম্মত হল। জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী এমএল শর্মার আর্জি খারিজ করে তিন বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য— ‘‘আমরা এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কোনও নির্দেশ দেব না।’’
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিল আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। জনস্বার্থ মামলা দু’টির আবেদনকারী এমএল শর্মা এবং বিশাল তিওয়ারির দাবি ছিল, দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই চক্রান্ত করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ‘খবর করা’ থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
বিশালের জনস্বার্থ মামলায় ‘ষড়যন্ত্রের খোঁজে’ তদন্তের দাবি জানানো হয়। অন্য দিকে, গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে আরও দু’টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে শীর্ষ আদালতে।