ফাইল ছবি
ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ের চেষ্টার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এক যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। একই সঙ্গে ওই যুবকের ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ‘বেআইনি ভাবে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ’ আইনে এই প্রথম কোনও ব্যক্তির সাজা হল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৭ সালের মে মাসের। জাভেদ নামে ওই যুবক এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর পরে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। নাবালিকার কাছে জাভেদ নিজের পরিচয় গোপন করেছিল। ‘মুন্না’ নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিল সে। ওই দু’জন পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পরের দিনই জাভেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের কাছে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, ‘প্রেমিক’ মুন্না তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে নিজের আসল পরিচয় জানায়। এবং ‘নিকা’র জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি হয়নি। নাবালিকার অভিযোগ, জাভেদ তাকে ধর্ষণও করেছে।
জাভেদকে গ্রেফতারের পরে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়। জেলে যায় ওই যুবক। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বেআইনি ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ অর্ডিন্যান্স, ২০২০ পাশ হয়। তাতে বলা হয়, জোর করে, ছলচাতুরির দ্বারা, ভয় দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করলে বা ধর্ম পরিবর্তনের উদ্দেশে বিয়ে করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। ওই বছরই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারিত হয়।
এই আইনের জেরে জাভেদ মামলার অভিমুখ ঘুরে যায়। আদালত জানায়, ওই নাবালিকাকে বিয়ে করে জাভেদ ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। এটা বেআইনি ভাবে ধর্মান্তরণের চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। ওই আইন মোতাবেক তার সাজা হয়। বর্তমানে ওই আইনে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ১০৮টি মামলা রুজু হয়েছে।