রোমিয়ো হেলিকপ্টার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ভারতীয় নৌসেনার নয়া অস্ত্র এমএইচ-৬০আর রোমিয়ো হেলিকপ্টারের ছবি প্রথম সামনে এল। শুক্রবার ভারতীয় নৌসেনা দিবসে কপ্টার নির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিনের ভারতীয় শাখার টুইটার এই আধুনিক হেলিকপ্টারের ছবি প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে থাকা রোমিয়ো কপ্টারের পিছনের অংশে রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার চিহ্ন। টুইটারে লেখা, ‘নৌসেনা দিবসে এমএইচ-৬০আর-এর প্রথম ছবি ভাগ করে নিতে পেরে আমরা গর্বিত’।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান নৌবাহিনীর করাচি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। তারপর থেকে এই দিনটি নৌসেনা দিবস হিসেবে পালিত হয়। নৌসেনা সূত্রের খবর, আগামী বছরের গোড়ায় আরও কয়েকটি রোমিয়ো ভারতে আসবে। ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর মোকাবিলায় এই চপার অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে বলে নৌসেনা সূত্রের খবর।
আমেরিকার সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি রোমিয়ো হেলিকপ্টার সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা শত্রু ডুবোজাহাজ চিহ্নিত এবং ধ্বংস করায় পারদর্শী। পাশাপাশি শত্রু যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা এবং সমুদ্রের বুকে নজরদারি, তল্লাশি ও উদ্ধারকার্য চালাতেও অত্যন্ত দক্ষ এই কপ্টার। জমি বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ার জাতীয় রণতরী থেকেও ওঠানামা করতে পারে রোমিয়ো।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা সফল, চিনের বিমান হানা ঠেকাতে এ বার এলএসি-তে ‘আকাশ’
চার দশকের পুরনো ব্রিটিশ সি কিং হেলিকপ্টারের বদলে রোমিয়ো কেনার বিষয়ে দু’বছর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৪টি রোমিও কিনতে আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে বিশেষ ন্যাভাল স্ট্রাইক ক্ষেপণাস্ত্র (এনএসএম)-সহ কিছু আনুষঙ্গিক খরচও। নরওয়ের সংস্থা কঙ্গসবার্গ ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস-এর তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: ঝুলিতে মাত্র ১, মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদ ভোটে ধাক্কা খেল বিজেপি