ফাইল চিত্র।
পাঁচ দশকের পুরনো চিতা এবং চেতক হেলিকপ্টারের পরিবর্ত পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা। আগামী বছরের মধ্যেই অন্তত ১৮৩টি হাল্কা হেলিকপ্টার (লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার বা এলইউএইচ) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এর মধ্যে ১২৬টি পাবে স্থলসেনার ‘আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর’। ৬১টি যাবে ভারতীয় বায়ুসেনার জিম্মায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে রাশিয়ার থেকে ‘কমোভ-২২৭টি’ হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি ভাবা হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর কাছ থেকে ‘লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার’ কেনার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। হ্যালের এলইউএইচ-এর সামরিক সংস্করণ তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। আগামী অগস্টে কার্যকারিতার চূড়ান্ত পরীক্ষা করবেন স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার বিশেষজ্ঞেরা। মাপকাঠিতে মিলে গেলেই হ্যাল থেকে শুরু হবে কপ্টার কেনার কাজ।
প্রসঙ্গত, হ্যাল-এর তৈরি হাল্কা যুদ্ধ হেলিকপ্টার ‘ধ্রুব’ গত দু’দশক ধরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিনি শাখা ব্যবহার করে। সেনা সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের পটনিটপ-সহ বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি দুর্ঘটনার পড়েছে পুরনো চিতা ও চেতক। ২০২৩ সালের মধ্যে পুরনো প্রযুক্তির ওই কপ্টারগুলির অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়বে। কমোভ কেনার জন্য ২০১৫ সালে মস্কোর সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা হলেও তা এখনও কার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মন্ত্রে ভর করেই পরিবর্ত খোঁজা হচ্ছে।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা ফৌজের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পরে হ্যাল-এর তৈরি কয়েকটি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা। কিন্তু কপ্টারগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ৭০ মিলিমিটার রকেট ব্যবহারে সক্ষম হলেও সেগুলি আকাশ যুদ্ধের উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে না। সেগুলি উন্নতকরণের কাজও চলছে।