NEET Scam 2024

নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে তদন্তভার নেওয়ার পর প্রথম গ্রেফতার সিবিআইয়ের, পটনা থেকে ধৃত দুই

সিবিআই সূত্রে খবর, মণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন। তার পর তাঁদের জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করতেন। আর এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১৬:০৪
Share:

তদন্তভার নেওয়ার পর সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত।

নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন দু’জন। বৃহস্পতিবার বিহারের পটনা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, মণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন। তার পর তাঁদের জন্য ঘরের ব্যবস্থাও করতেন। আর এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ। মূলত পরীক্ষার্থীদের গাড়ি নিয়ে আসার কাজ করতেন মণীশ। আর নিজের বাড়িতে পরীক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তের ভার ছিল আশুতোষের উপর।

সন্দেহ করা হচ্ছে, পরীক্ষার আগে একটি ফাঁকা স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। সেখানে প্রায় ২৪ জন পরীক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার আগের দিন তাঁদের নিটের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। সেগুলির উত্তরও তৈরি করানো হয়। নিট প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রবিবারই সিবিআইয়ের হাতে নিট প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সে দিনই প্রথম এফআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

Advertisement

সিবিআইয়ের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলাটি চলছে। নিটে ‘বাড়তি নম্বরের’ ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবারই পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-কে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একটি ‘লার্নিং অ্যাপ’-এর তরফে নিটে দুর্নীতি এবং বাড়তি নম্বরের প্রসঙ্গ তুলে মামলা দায়ের করা হয়।

এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার রাজ্যের পুলিশের হাতে ২৬ জনকে গ্রেফতার হয়েছেন। তার মধ্যে বিহার থেকে গ্রেফতার ১৩, ঝাড়খণ্ডে ৬,গুজরাতে ৫ এবং মহারাষ্ট্রে ২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিটে একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশ জুড়ে। পরে জানা যায়, প্রশ্নপত্র এবং কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়জনিত সমস্যার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে। কিন্তু র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই এই বাড়তি নম্বরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement