দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। ছবি: টুইটার।
হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড। ট্রেনের তিনটি কামরায় আগুন লেগেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় তেলঙ্গানায় মুম্মইপল্লি এবং পাগিড়িপল্লির মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। তার পরই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
তড়িঘড়ি এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। অন্য ট্রেনে করে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে বেলাইন হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়েছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার এক মাসের মাথায় আবার ট্রেনে বিপত্তি দেখা গেল। ফলে রেলে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠল। এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ট্রেন বেলাইন এবং ট্রেনে আগুন-আতঙ্কের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ওড়িশার ব্রহ্মপুরে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার ভরওয়াড়ী স্টেশনের কাছে ধোঁয়া দেখা যায় শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেসের একটি কামরায়। ওড়িশার নৌপাড়া জেলায় দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসেও আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ওড়িশার বারগড় জেলায় লাইনচ্যুত হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং বারগড়ে একটি সিমেন্ট কারখানার মধ্যে ন্যারো গেজ লাইন রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ওই লাইনেই বেলাইন হয়েছিল মালগাড়িটি। ওই রেলপথের সঙ্গে ভারতীয় রেল যুক্ত নয়। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে রান্নার গ্যাসবোঝাই মালগাড়ির দু’টি ওয়াগন বেলাইন হয়ে যায়। কেউ হতাহত হননি। বার বার ট্রেনে এমন বিপত্তির ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।