India-China Conflict

নজরে প্যাংগং, লাদাখে আজ ফের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক

ফিঙ্গার এরিয়া-৫ থেকে ৮ পর্যন্ত চিনা ফৌজের দখলদারির প্রসঙ্গই আজ কোর কমান্ডার স্তরের আলোচনার মুখ্য বিষয় হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লেহ্ শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ১১:৫০
Share:

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় বাহিনীর টহলদারি— ফাইল চিত্র।

উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথের কাছে চিনা ফৌজ মোতায়েনের জেরে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সেই আবহেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমাতে রবিবার দুপুরে দু’পক্ষের পঞ্চম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হতে চলেছে। আগের চার বারের মতোই পূর্ব লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া চিন-নিয়ন্ত্রিত মলডোতে বৈঠক হবে। লেহ্‌তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চিনের দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন বৈঠকে অংশ নেবেন।

Advertisement

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-য় ভারতীয় সেনা এবং চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে দু’তরফই আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমাতে সক্রিয় হয়েছিল। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরে গালওয়ান, হট স্প্রিং, গোগরা-সহ লাদাখের কয়েকটি এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র প্রক্রিয়ার কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও সেনা সূত্রের খবর। যদিও এখনও উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা এবং দক্ষিণে প্যাংগং লেকের ধারে ফিঙ্গার এরিয়ায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা ফৌজ ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

প্যাংগং লেকের তীরে আঙুলের মতো ঢুকে আসা ভূখণ্ডগুলি 'ফিঙ্গার এরিয়া' নামে পরিচিত। মে মাসের গোড়াতেও ফিঙ্গার এরিয়া-৮ পর্যন্ত (এলএসসি) টহল দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু এর পরেই চিনা ফৌজ এগিয়ে ফিঙ্গার এরিয়া-৪ পর্যন্ত চলে আসে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই মাসে তারা কিছুটা পিছিয়ে ফিঙ্গার এরিয়া-৫-এর কাছে বাঙ্কার বানিয়ে বসেছে বলে সেনা সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে আজকে প্যাংগং লেক প্রসঙ্গই কোর কমান্ডার স্তরের আলোচনার মুখ্য বিষয় হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখে এ বার সেনা সমাবেশ চিনের

উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরে দেপসাং উপত্যকায় এলএসি পেরিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঢুকে এসে লাল ফৌজ ‘ওয়াই-জংশনে’ ডেরা বেঁধেছে। ফলে ভারতীয় বাহিনীর পেট্রোলিং পয়েণ্ট ১০ এবং ১৩-তে যাওয়া কার্যত বন্ধ। গোগরায় সঙ্ঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে দু’পক্ষ কিছুটা পিছিয়ে বাফার জোন তৈরি করলেও এখনও লাল ফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডেই অবস্থান করছে বলে কয়েকটি উপগ্রহ চিত্রে দাবি করা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে এই বিষয়গুলিও তোলা হতে পারে।

আরও পড়ুন: লাদাখ নিয়ে ভারতের পাশে আমেরিকা​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement