প্রতীকী ছবি।
প্রায় বারো লক্ষ রেল কর্মীর মধ্যে সাড়ে ছয় লক্ষ রেল কর্মীকে টিকাদানের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানালেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা। এ দিন অনলাইনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ১৫ জুনের পরে একাধিক রাজ্যে গণ পরিবহণ সংক্রান্ত বিধি নিষেধ উঠলে দূর পাল্লার ট্রেনের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে। কলকাতা ছাড়াও পূর্ব এবং উত্তর ভারতের যে সব শহরে যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে, সেখান থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান।
সারা দেশে এখন ৮৮৯টি দূর পাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ২৮৯১ টি শহরতলির লোকাল ট্রেন চলছে। সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকগুলি দূরপাল্লার ট্রেন ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনতে চলেছে রেল। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়ে এমন ৩৩ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা ফের শুরু করার জন্য মঙ্গলবার রাতে অনুমতি দিয়েছে রেল বোর্ড। এপ্রিলের শেষের দিকে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতেই ওই ট্রেনগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যায়। যে সব ট্রেনের পরিষেবা নতুন করে শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কোলফিল্ড, শান্তিনিকেতন, হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী, দার্জিলিং মেল, ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ন ট্রেন রয়েছে। তবে, করোনা আবহে সব কটি ট্রেনই বিশেষ ট্রেন হিসেবে চলবে। যাত্রীদেরও ওই সব ট্রেনে সফর করার জন্য সংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট কাটতে হবে।