প্রতীকী ছবি।
পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে গলা টিপে খুন করে তাঁর দেহ নদীর ধারে বালিতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে সেই দেহ তুলে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই কয়েক জনের নজরে আসে। বিষয়টি দেখে ফেলায় গৃহবধূর দেহ অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ফেলে রেখে পালান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকেরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তত ক্ষণে দেহের উপরিভাগ জ্বলে গিয়েছিল গৃহবধূর। আধজ্বলা পায়ের নূপুর দেখেই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা শনাক্ত করেন। মেয়ের আধজ্বলা সেই পা নিয়েই সুবিচারের আশায় সোজা থানায় হাজির হন বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বিহারের আরা জেলার ভোজপুরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১-এর মে মাসে অখিলেশ বিন্দের মেয়ে মমতা দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ভোজপুরের বরৌলি গ্রামের শত্রুঘ্ন বিন্দের। মমতার বাবা-মা গুজরাতের রাজকোটে শ্রমিকের কাজ করেন। সে কারণে বরৌলি গ্রামে মামরবাড়িতে থাকতেন মমতা। মামা বিগন বিন্দ ধুমধাম করে ভাগ্নির বিয়ে দিয়েছিলেন শত্রুঘ্নর সঙ্গে। নগদ টাকা এবং সংসারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পণ হিসেবেও দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য মমতাকে চাপ দিতেন শত্রুঘ্ন। সেই টাকা না দিতে পারায় মমতাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বিষয়টি নিয়ে বুধবার অশান্তি চরমে ওঠায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মমতাকে গলা টিপে খুন করার পর একটি গাড়ি ভাড়া করে সোন নদীর ধারে বালিতে পুঁতে দিয়ে আসেন।
কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেই দেহ আবার তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের কয়েক জন হাজির হন। আর তা দেখেই সেই আধজ্বলা দেহ ফেলে পালান তাঁরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মমতার বাবা-মা। মেয়ের আধপোড়া পায়ে নূপুর দেখেই চিনতে পারেন তাঁরা। প্রমাণ হিসেবে মেয়ের আধপোড়া পা নিয়ে সটান থানায় হাজির হন বাবা। এমন ঘটনা দেখে পুলিশও স্তম্ভিত। মমতার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।