প্রতীকী ছবি।
কন্যাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, শুনেই থানায় গিয়েছিলেন বাবা। সঙ্গে নিয়েছিলেন নির্যাতিতাকেও। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কোনও কথা কানেই তোলেনি। অভিযোগ গ্রহণ না করায় হতাশায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সোমবার তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের জালৌন এলাকার আকোধি গ্রামের। অভিযোগ, গ্রামেরই কয়েক জন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। সে যদি পুলিশের কাছে যায়, তবে তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন অভিযুক্তেরা। কিশোরীর বাবা কর্মসূত্রে পঞ্জাবে থাকেন। তিনি বাড়ি এলে তাঁকেই সবটা জানায় কন্যা। এর পর মেয়েকে নিয়ে বাবা থানায় যান। কিন্তু সেই সময় থানায় যে পুলিশকর্মী কর্মরত ছিলেন, তিনি অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। উল্টে ভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী।
দু’মাস ধরে পুলিশের দুয়ারে ঘুরছিলেন ধর্ষিতার বাবা। কিন্তু কিছুতেই পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। হতাশায় সোমবার গলায় দড়ি দেন অভিযোগকারী। তাঁর মৃত্যুর পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেই সঙ্গে ধর্ষিতা কন্যার জন্য বিচারের দাবিও জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জালৌনের এএসপি অসীম চৌধরি। সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এএসপি জানিয়েছেন, এক নাবালিকার গণধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে। দোষীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করবে পুলিশ।