কেক কেটে ঋতুস্রাবের প্রথম দিন পালন করছে জিতেন্দ্রের কন্যা। ছবি: সংগৃহীত।
কন্যার প্রথম ঋতুস্রাবের দিনটি ধুমধামের সঙ্গে পালন করলেন বাবা। কেক এনে, বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে ঋতুমতী কন্যাকে উপহারে ভরিয়ে দিলেন। সেই সঙ্গে বার্তা দিলেন সমাজকেও।
উত্তরাখণ্ডের উধমসিংহ নগরের কাশীপুর সিটি এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র ভট্ট। তিনি পেশায় সঙ্গীত শিক্ষক। সম্প্রতি তাঁর কন্যার ঋতুচক্র শুরু হয়েছে। ঋতুস্রাবের প্রথম দিনটি উৎসবের মেজাজে পালন করেছেন জিতেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, ঋতুস্রাবকে নিয়ে সমাজে প্রচলিত বদ্ধমূল ধারণাকে দূর করাই তাঁর উদ্দেশ্য।
সমাজমাধ্যমে ঋতুচক্র পালনের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্রের কিশোরী কন্যা কেক কাটছে। চারপাশে দাঁড়িয়ে তার পরিবারের সদস্যেরা হাততালি দিচ্ছেন। জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘আমি যখন ছোট ছিলাম, এ বিষয়ে বেশি কিছু জানতাম না। বড় হওয়ার পর দেখলাম, এই বিষয়টি নিয়ে মেয়েদের ছোট করে দেখা হয়। পিরিয়ড নিয়ে কথাও বলা হয় না। এই সময় মেয়েরা কিছু স্পর্শ করলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। আমি তাই আমার নিজের মেয়ের প্রথম পিরিয়ডের দিনটি উদ্যাপন করে এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে চেয়েছি।’’
সমাজের প্রতি জিতেন্দ্রের বার্তা, ‘‘ঋতুস্রাব কোনও অশুভ এবং অস্পৃশ্য অসুখ নয়। এটি আনন্দের দিন।’’
জিতেন্দ্রের এই অভিনব উদ্যোগ দেখে খুশি তাঁর পড়শিরাও। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নভোপ্রীৎ কউর জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত ভাল একটি উদ্যোগ। সমাজের একাংশ এখনও ঋতুস্রাবকে যে ভাবে অশুভ এবং অস্পৃশ্য বলে মনে করে, তা ভুল। ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে মহিলাদের প্রতি দিন স্নান করা উচিত। পুজো করা এবং মন্দিরে যাওয়াতেও কোনও বাধা নেই।